প্রথম একদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারাল ভারত (India vs England)। প্রথমে ব্য়াট করে ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬ উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। রান তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটে ম্য়াচ জেতে ভারত। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।
প্রথমে বল হাতে জসপ্রীত বুমরার আগুনে বোলিং, তারপর ব্য়াট হাতে রোহিত শর্মার মারকাটারি ব্য়াটিং। প্রথম একদিনের ম্য়াচে ইংল্য়ান্ড দলকে হেলায় হারাল ভারতীয় দল। ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফরম্য়ান্স করে ১০ উইকেট জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। জস্রপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, প্রসিদ্ধা কৃষ্ণা ভারতীয় পেস অ্যাটাকের ত্রিফলার সামনে গুড়িয়ে যায় ইংল্য়ান্ডের ব্য়াটিং। মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জস বাটলারে ৩০ ও ডেভিড উইলির ২১ রানের ইনিংস ছাড়া কোনও ব্য়াটসম্যান ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। জেসন রয়, জো রুট, বেন স্টোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন তো খাতাই খুলতে পারেননি। ভারতের হয়ে কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স করেন জসপ্রীত বুমরা। ১৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ৩ উইকেট নেন মহম্মদ শামি ও ১ উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৪ ওভারেই কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ৫৮ বলে ৭৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা, ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন শিখর ধওয়ান।
এদিন শুরু থেকেই কোনও কিছু ঠিকঠাক হয়নি ইংল্য়ান্ড ব্য়াটিংয়ের। দ্বিতীয় ওভারেই দলের ৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। খাতা না খুলেই জসপ্রীত বুমরার বলে আউট হন জেসন রয়। এরপ ক্রিজে এসে ২ বল খেলেই শূন্য রানে বুমরার দ্বিতীয় শিকার হন জো রুট। ৭ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। শামির বলে শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন বেন স্টোকস। দলের ১৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭ রানে বুমরার তৃতীয় শিকার হন জনি বেয়ারস্টো। ২৬ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। খাতা না খুলে বুমরার চতুর্থ শিকার হ লিয়াম লিভিংস্টোন। এরপর একটু লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মইন আলি ও জস বাটলার। তবে জুটিতে ২৭ রান যোগ করতে পারেন তারা। দলের ৫৩ রানের মাথায় ১৪ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন মইন আলি। এরপর ব্যক্তিগত ৩০ রানে মহম্মদ শামির বলে আউট হন বাটলার। ৫৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ইংল্য়ান্ড। দলের ৬৮ রানের মাথায় শামির বলে ৮ রান করে আউট হন ক্রেইগ ওভারটন। ডেভিড উইলি ও ব্রিডন কার্স শেষের দিকে ৩৫ রানের পার্টনারশিপ না করলে ১০০-পারও করতে পারত না ইংল্য়ান্ড। ১০৩ রানে নবম উইকেট পড়ে। ১৫ রান করে বুমরার পঞ্চম শিকার হন ব্রিডন কার্স। এরপরে ২১ রান করে বুনরার ষষ্ঠ শিকার হন উইলি। ১১০ রানে অলআউট হন ইংল্য়ান্ড। ভারতের টার্গেট ১১১।
রান তাড়া করতে যে উইকেটে ব্য়াট করতে গিয়ে ল্য়াডে গোবরে অবস্থা হয়েছিল ইংল্যান্ডের, সেই উইকেটে অনায়াসেই ব্য়াটিং শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার। রোহিত শর্মা ও শিখর ধওয়ানের ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায় ছিল মা এই উইকেটেই প্রথম ইনিংসে একটি ১১০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে। দলের স্কোর ৬ রান হতেই রেকর্ডও গড়েন রোহিত-ধওয়ান জুটি। ওপেনিং জুটিতে ৫ হাজার রান করে সচিন-তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রেকর্ড স্পর্শ করেন তারা। এদিন প্রথম থেকেই নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা। আগ্রাসী ব্য়াটিং করে ইংরেজ বোলারদের কোনও সুযোগই দেননি ভারত অধিনায়ক। অপরদিকে, দীর্ঘ দিন পর দলে ফেরায় ঠান্ডা মাথায় রোহিত শর্মাপ সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেট করে যান ধওয়ান। ঝুঁকি না নিয়ে ক্রিজে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন তিনি। অপরদিকে একের পর এক মারকাটারি শট খেলতে থাকেন রোহিত। প্রথমে নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ভারতীয় ওপেনিং জুটি। তার রোহিত নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেন। পরে দিকে কিছুটা রানের গতি বাড়ান ধওয়ানও। শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভার ৪ বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ৭৬ রানে ও ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত ও ধওয়ান। এই জয়ের ফলে ৩ ম্য়াচের একদিনের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়াষ