
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংকে সহজেই হারিয়ে সুপার ফোর পৌছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। নিজাকাত খানের দলের বিরুদ্ধে ব্যাট-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ৪০ রানে জয় পেল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। এই ম্য়াচে টিম ইন্ডিয়ার সবথেকে বড় প্রাপ্তি বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবদের রানে ফেরা। ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন হংকং অধিনায়ক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে ভারত। ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব ও বিরাট কোহলি করেন ৫৯ রান। এর পাশাপাশি কেএল রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ রান ও রোহিত শর্মা করেছেন ২১। রান তাড়া করতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে হংকং। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন বাবর হায়াত, ৩০ রান করেন কিঞ্চিৎ শাহ ও ২৬ করেন জিশান আলি।
হংকংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে একটু সাবধানী হয়েই শুরু করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রান করেন তারা। তারপর ১৩ বলে ২১ রান করে আয়ূশ শুক্লার বলে আউট হন রোহিত শর্মা। এরপর বিরাট কোহলি ও কেএল রাহলের ঠান্ডা মাথায় স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। বেশ কয়েকটি ভালো শটও খেলেন তারা। দুজন মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। অবশেষে ৯৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ভারতীয় দলের। ৩৯ বলে ৩৬ রান করে মহম্মদ গাহজনফারের বলে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব দলের রাশ ধরেন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেন সূর্যকুমার যাদব। কোহলি খেলেন তার স্বাভাবিক ক্রিকেট। শেষের দিকে রানের গতিবেগ বাড়ান দুজনেই। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করে ফেলেন সূর্য-বিরাট জুটি। বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াট করেন সূর্য। ১৯ তম ওভারে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন বিরাট কোহলি। ৪০ বলে করেন ৫০। এরপর রানের গতিবেগ আরও বাড়ান দুই তারকা। শেষ ওভারে নিদের অর্ধশতরান পূরণ করেন সূর্যকুমার যাদব। ২২ বলে করে হাফ সেঞ্চুরি। শেষ ওভারে তিনটি ছয় মারেন সূর্যকুমার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে ভারত। ২৬ বলে ৬৮ ও ৪৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন সূর্যকমার যাদব ও বিরাট কোহলি।
রান তাড়ে করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি হংকংয়ের। ১২ রানেই প্রথম উইকেট পড়ে। ৯ রান অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন ইয়াসিম মুরতাজা। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন দলের দুই প্রধান ব্যাটসম্যান অধিনায়ক নিজাকত খান ও বাবর হায়াত। বিশেষ করে বাবর হায়াত দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। দুজন মিলে ৩৯ রান যোগ করেন জুটিতে। এরপর অসাবধানতাবশত জাদেজার থ্রোয়ে ১০ রান করে রান আউট হন নিজাকাত খান। এরপর ক্রিজে আসেন কিঞ্চিৎ শাহ। বাবর হায়াতের সঙ্গে শুরুটা ভালো করলেও বড় পার্টনারশিপ করতে পারেননি। ৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৪১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট বাবর হায়াত। এরপর কিঞ্চিৎ শাহ ও আইজাজ খান মিলে ৩১ রান জুটিতে যোগ করেন। দলের ১০৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রানে আভেস খানের বলে আউট হন আইজাজ খান। ১১৬ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। ৩০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন কিঞ্চিৎ শাহ। শেষের দিকে জিশান আলি স্কট ম্যাকহেইন মিলে দ্রুত গতিতে রান করলেও ততক্ষণে ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়ছে। শেষ পর্যন্ত ১৫২ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। ২৬ ও ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন জিসান আলি ও স্কট ম্যাকহেইন। ৪০ রানে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। এই জয়ের ফলে আফগানিস্তানের পর সুপার ফোরে পৌছে গেল ভারত।
আরও পড়ুনঃএশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন কিছু রেকর্ড, যা অনেকের অজানা
আরও পড়ুনঃক্রিকেটের ৩ ফর্ম্যাটেই ৫ উইকেটে নিয়েছেন এই বোলাররা, তালিকায় ২ জন ভারতীয়