যে কোনও প্রতিযোগিতাতেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই আবেগ-উত্তেজনা ভরপুর থাকে। তবে টি-২০ ম্যাচে উত্তেজনা একটু বেশিই থাকে। বিশ্বকাপ হলে তো কথাই নেই।
২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভারত-পাকিস্তান। একটি ম্যাচ বাদ দিয়ে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে দু'বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ হয় ২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪১ রান করে ভারতীয় দল। জবাবে ৭ উইকেটে ১৪১ রান করে পাকিস্তান। ম্যাচ টাই হওয়ার পর বোল আউটে জয় পায় ভারত। সেই ম্যাচটি অত্যন্ত উত্তেজক ছিল। কিন্তু উত্তেজনার তখনও বাকি ছিল। এরপর এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে ফের ভারত-পাক লড়াই হয়। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান করে ভারতীয় দল। সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ওপেনার গৌতম গম্ভীর। পাকিস্তানের হয়ে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন উমর গুল। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই মহম্মদ হাফিজের (১) উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর তৃতীয় ওভারে ২৬ রানের মাথায় কামরান আকমলের (০) উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমরান নাজির ১৪ বলে ৩৩ রান করে ভারতীয় শিবিরে আতঙ্ক ছড়ান। তাঁকে রান আউট করে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেন রবিন উথাপ্পা। চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা ইউনিস খান ২৪ রান করেন। অধিনায়ক শোয়েব মালিক করেন ৮ রান। শাহিদ আফ্রিদি প্রথম বলে কোনও রান না করেই ফিরে যান। ইয়াসির আরাফত ১৫ ও সোহেল তনভীর ১২ রান করেন। গুল কোনও রান করতে পারেননি। মহম্মদ আসিফ ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষপর্যন্ত লড়াই করেন মিসবা উল-হক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান। ভারতের হয়ে বল করতে যান যোগীন্দর শর্মা। এই ওভারটি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
যোগীন্দরের প্রথম বলটি হয় ওয়াইড। দ্বিতীয় বলে কোনও রান করতে পারেননি মিসবা। তিনি পরের বলে ছক্কা মারেন। চতুর্থ বল স্কুপ করে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন মিসবা। কিন্তু শর্ট ফাইন লেগে থাকা শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত সহজেই ক্যাচ নেন। ফলে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৫ রানে জিতে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ইরফান পাঠান। ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আর পি সিং। ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন যোগীন্দর। ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন শ্রীশান্ত।
আরও পড়ুন-