ভারতের কাছে বিশ্বকাপে হেরে গেলেই টিভি ভাঙা পাকিস্তানে যেন রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। রবিবার ফের ভারতের জয়ের পরেও সেটা দেখা গেল।
খেলার সময় বরাবরই পাকিস্তানের বোলারদের আক্রমণ করতেন। মুলতানে ৩০৯, ২০০৩ বিশ্বকাপে ঝোড়ো ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরকালের মতো স্থান পেয়েছে। খেলা ছাড়ার পরেও পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে ছাড়েন না প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহবাগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি প্রায়ই পাকিস্তানকে খোঁচা দেন। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ম্যাচ চলাকালীন পরপর ট্যুইট করে যাচ্ছিলেন। ভারত জিতে যাওয়ার পর আনন্দে আরও ট্যুইট করতে থাকেন সেহবাগ। তিনি যেমন বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, আর্শদীপ সিংদের প্রশংসা করতে থাকেন, তেমনই পাকিস্তানকে কটাক্ষও করেন। তার মধ্যে একটি ট্যুইটে মজার ভিডিও শেয়ার করেন সেহবাগ। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্য়ক্তি ভারত-পাক ম্যাচ দেখছেন। শেষ বলের সময় তিনি উত্তেজনায় আর বসে থাকতে পারছেন না। সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। চোখ টিভির পর্দায়। মহম্মদ নওয়াজের বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন জয়সূচক রান নেওয়ার পরেই প্রচণ্ড রেগে গিয়ে টিভি ভাঙতে শুরু করেন ওই দর্শক। তিনি প্রথমে হাতের সামনে যেটা পান সেটাই টিভির দিকে ছুড়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে টিভি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ওই ব্যক্তি ছুটে গিয়ে টিভিতে লাথি মারেন, হাত দিয়ে টেনে টিভি মেঝেতে ফেলে দেন। এরপরেও রাগ কমেনি তাঁর। মেঝেতে পড়ে থাকা টিভিতে ফের লাথি মারেন।
এই ভিডিওটির সঙ্গে সেহবাগ লিখেছেন, “প্রতিবেশীরা শান্ত হও। এটা একটা খেলা, এর বেশি কিছু না। তোমরা জেতার জন্য অনেক চেষ্টা করেছো। আমাদের এখানে দীপাবলিতে বাজি ফাটাচ্ছি আর তোমরা কোনও কারণ ছাড়াই টিভি ভাঙছো। এটা কোরো না। টিভির আর কী দোষ!”
রবিবার ভারতের জয়ের পর পাকিস্তানের সমর্থকরা আম্পায়ারকে দোষ দিতে ব্যস্ত। তাদের দাবি, শেষ ওভারে নওয়াজের যে বলটি নো দেন আম্পায়ার, সেটি কোমরের উপরে ছিল না। আম্পায়ারের এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই ভারতীয় দল সুবিধা পেয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাংলাদেশের পাকিস্তান সমর্থকরাও গলা মিলিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আইসিসি, আম্পায়ার ও ভারতীয় দলকে আক্রমণ করছেন। আসলে ভাল জায়গায় থেকেও শেষপর্যন্ত বিরাট ও হার্দিকের ব্যাটিং দক্ষতার কাছে হার মানতে হওয়ায় রাগে ফুঁসছে পাকিস্তান শিবির। তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আগে-পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চলবে। হতাশা প্রকাশ করার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নেন।
আরও পড়ুন-