IPL 2022 Final- রাজস্থানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন গুজরাট, জেনে নিন ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট কোনগুলি

আইপিএল ২০২২-এর মেগা ফাইনালে (IPL 2022 Final) চ্য়ানম্পিয়ন  গুজরাট টাইটানস। ৭ উইকেটে হারাল রাজস্থান রয়্যালসকে। ( GT vs RR)।   প্রথমে ব্য়াট করে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। ১১ বলে আগে জয় পায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দেখে নিন ফাইনালের টার্নিং পয়েন্ট। 
 

Web Desk - ANB | Published : May 29, 2022 7:54 PM IST

লো স্কোরিং আইপিএল ২০২২ ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুজরাট টাইটানস। যে ফর্মে মরসুম শুরু করেছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল , ফাইনালে সেই ছন্দ ধরে রাখল গুজরাট। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট টাইটানস। এক ঝলকে জেনে নি আইপএল ২০২২ ফাইনালের টার্নিং পয়েন্ট কোনগুলি। 

জস বাটলারের লড়াকু ইনিংস-
ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে একমাত্র সম্মানজনক স্কোর করেন জস বাটলার। গুজরাটের বোলিংয়ের সামনে যেখানে রাজস্থানের কোনও ব্য়াটসম্য়ান রান পাচ্ছিলেন না একদিক থেকে দাঁড়িয়ে থাকেন জস বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হন ব্রিটিশ তারকা। ইনিংসে ৫ টা চার মারেন তিনি। মরসুমে ৮৬৩ রান করলেন  তিনি। 

রাজস্থান ব্য়াটিংয়ের ব্যর্থতা-
ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস হারের অন্যতম কারণ হল ব্যাটিং লাইআপে ব্যর্থতা।  দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জস বাটলার। এছাড়া ২২ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। এছাড়া কোনও রাজস্থান ব্যাটসম্যান ২০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেননি। যার ফলে ১৩০ রান করে গুজরাট। যেই রান নিয়ে ফাইনালে লড়াই করা খুবই কঠিন।

দুরন্ত বোলিং হার্দিক পান্ডিয়ার-
ফাইনালে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে দুরন্ত পারফরম্য়ান্স করেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক। রাজস্থান রয়্যালস দলের তিনটি প্রধান উইকেটের শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঞ্জু স্য়ামসন, জস বাটলার ও শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নেন তিনি। রাজস্থান ব্য়াটিংয়ের তিন প্রধান স্তম্ভই এই ৩ জন। নিজের ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হার্দিক।  যা তার আইপিএল কেরিয়ারের বেস্ট পারফরম্যান্স। 

'কেরামতি' রাশিদ খান-
গুজরাট টাইটানসের হয়ে এদিন বল হাতে ফের একবার নিজের নামের সঙ্গে সুবিচার করলেন রাশিদ খান। বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করে কৃপণ বোলিং করেন তিনি। সঙ্গে নেন দেবদূত পাড়িকলের মহামূল্যবান উইকেট। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। 

শুবমান গিলের অনবদ্য ব্য়াটিং-
১৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ফাইনালে দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল গুজরাট টাইটানস। সেখান থেকে ঠান্ডা মাথায় ব্য়াট করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান শুবমান গিল। ৪৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি। কোনও সময় উত্তেজতি না হয়ে গিলের ঠান্ডা মাথার ইনিংস গুজরাটের জয়ের অন্যতম কারণ।

ব্যাট হাতেও হার্দিক ক্য়ারিশ্মা-
বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্য়াট হাতেও এদিন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর শুবমান গিলের সঙ্গে তার পার্টনারশিপ দলের জয়ের পথ প্রশস্ত করে।  ৬৩ রানের পার্টনারশিপ করেন হার্দিক ও শুবমান। ৩৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন হার্দিক। ৩টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি। 

ডেভিড মিলারের ফের 'কিলার' ব্যাটিং-
গোটা মরসুমের মত ফাইনালেও নিজের ফর্ম ধরে রাখেন ডেভিড মিলার। শেষের দিকে এসে নিজের মারকাটারি ব্য়াটিং করে দলকে সহজেই জয় এনে দেন। ১৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১টি ছয় ও ৩টি চার মারেন তিনি। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট মারেন তিনি। নিজের ব্য়াটিংয়ে সকলকে মুগ্ধ করেন। 

Read more Articles on
Share this article
click me!