
আইপিএল ২০২২-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রথমে ব্যাট করে অনবদ্য ইনিংস খেললেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল। তাকে সঙ্গ দিয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেন দীপক হুডাও। দিল্লির হয়ে ভালো বোলিং করলেন শার্দুল ঠাকুর। ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করে লখনউ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন কেএল রাহুল। ৫২ রান করেন দীপক হুডা। ২৩ রান করে কুইন্টন ডিকক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। এছাড়া কোনও দিল্লি ক্য়াপিটালসের বোলার কোনও উইকেট নিতে পারেনি।
টস জিতে ব্যাক করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার অধিনায়ক কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। ঝড়ো গতিতে রান করতে থাকেন দুই তারকা। দ্রুত গতিতে ৪২ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। তারপর শার্দুল ঠাকুরের বলে ব্যক্তিগত ২৩ রান করে আউট হন কুইন্টন ডিকক। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন দীপক হুডা ও কেএল রাহুল। লখনউ অধিনায়ক প্রথমে একটু ধীর গতিতে খেললেও অপরদিকে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করেন দীপক হুডা। নিজেদর মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন রাহুল-হুডা জুটি। তারপর রানের গতিবেগ বাড়ান কেএল রাহুল। দুই তরুণ তারকাই নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ৯৫ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয় এই জুটি। ১২৭ রানে পড়ে লখনউয়ের দ্বিতীয় উইকেট। ৩৪ বলে ৫২ রান করে শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার হন দীপ হুডা।
এরপর কেএল রাহুলকে এসে সঙ্গে দেন অজি তারকা মার্কাস স্টয়নিস। তথক্ষণে অপরদিকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে ফেলেছেন লখনউ অধিনায়ক। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন তিনি। স্টয়নিসকে অবশ্য অফ ফর্মের কারণে নিজেকর স্বাভাবিক ছন্দে প্রথমে দেখা যাচ্ছিল না। তবে বেশি আক্রমণাত্মক ব্য়াটি করতে দিয়ে ১৯ তম ওভারে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে আউট হন কেএল রাহুল। ৫১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল ঠাকুরের তৃতীয় শিকার হন তিনি। রাহুল ও স্টয়নিয় মিলে কেন ৩৯ রানের পার্টনারশিপ। তবে একটা সময় যেখানে মনে হচ্ছি ২০০ বা তার বেশি স্কোর করবে লখনউ সুপার জায়ান্টস শেষের দিকে ওভারে ভালো বোলিং করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯৫ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৭ ও ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মার্কাস স্টয়নিস ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। দিল্লি ক্যাপিটালসের টার্গেট ১৯৬ রান।