
লাগাতার দুশোর বেশি রান রাজস্থান রয়্যালসের। পরপর দুটি ম্যাচ শতরান জস বাটলারের। শেষ ওভারের নো বলের বিতর্ক। একমাত্র দল হিসেবে ৫টি ম্য়াচ স্কোর ডিফেন্ড করে জয়রাজস্থানের। দিল্লি বিরুদ্ধে ম্য়াচে ক্রিকেটের ফুল এন্টারটেনমেন্ট দেখল ক্রিকেট প্রেমরা। ১৫ রানে ম্য়াচ জেতে সঞ্জু স্যামসনের দল। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের বিশাল স্কোর করে রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন জস বাটলার। এছাড়া ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন দেবদূত পাড়িকল। ৪৬ রান করেন সঞ্জু স্যানসন। রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২০৭ রানে থামে দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ঋষভ পন্থ। এছাড়া ৩৭ রান করেন পৃথ্বি শ ও ললিত যাদব। শেষের দিকে রভম্যান পাওয়েল ৩৬ রানের বিধ্বংসী খেলে দলকে জয় এনে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
ব্য়াট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা অনবদ্য করে রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার জস বাটলার ও দেবদূত পাড়িকল। প্রথম কয়েকটি ওভার দেখের নেওয়ার পরই রুদ্রমূর্তি ধারন করেন বাটলার। পাওয়ার প্লের পরই রানের গতিবেগ আরও বাড়ায় বাটলার ও দেবদূত পাড়িকল। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাকাতে থাকেন ব্রিটিশ তারকা। নিজেদের মধ্যে শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন জস বাটলার ও দেবদূত পাড়িকল। নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন দুই তারকা। দেড়শো রানের পার্টনারশিপও করার পর ১৫৫ রানে প্রথম উইকেট পরে রাজস্থানের। ৫৪ রানের ইনিংস খেলে খালিল আহমেদের বলে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। প্রথম উইকেট পড়ার পর ক্রিজে আসেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। অপরদিকে মরসুমে নিজের তৃতীয় শতরান পূরণ করেন জস বাটলার। কেকেআর ম্য়াচের পর দিল্লির বিরুদ্ধে পরপর দুটি আইপিএল ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নজিরও গড়েন জস বাটলার। এরপর বাটলার ও সঞ্জু মিলে ঝড়ে গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান। বিশেষ করে নেমেই মারকাটারি ইনিংস খেলা শুরু করেন সঞ্জু স্যামসন। ৪৭ রানের পার্টনারশিপ করেন বাটলার-সঞ্জু জুটি। দলের ২০২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের। ১১৬ রানের ইনিংস খেলে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন জস বাটলার। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান সঞ্জু স্যামসন। শেষে পর্যন্ত ৪৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু স্যামসন। ২২২ রানে শেষ হয় রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা আক্রমণাত্মভাবেই করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার পৃথ্বি শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। বেশি কিছু মারকাটারি শট খেলেন দুজনেই। কিন্ত বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ওপেনিং পার্টনারিশিপ। পঞ্চম ওভারে দলের ৪৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লি। ২৮ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন ওয়ার্নার। এরপর শরফরাজ খান এসে মাত্র ১ রান প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। রবিচন্দ্রনের অশ্বিনের শিকার হন তিনি। ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। এরপর ঋষভ পন্থ ও পৃথ্বি শ মিলে দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। দ্রুত গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। ৯৯ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দিল্লির। ৩৭ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হন পৃথ্বি শ। ললিত যাদব এসে সঙ্গ দেন পন্থকে। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি পার্টনারশিপ। ২৫ রান যোগ করার ব্যক্তিগত ৪৪ রানে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন ঋষভ পন্থ। অক্ষর প্য়াটেল এসে মাত্র ১ রান যুজবেন্দ্র চাহলের বলে বোল্ড হন। ১২৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে দিল্লির। এরপর শার্দুল ঠাকুর ও ললিত যাদব মিলে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যান স্কোর বোর্ড। ১৫৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। ১০ রান করে রান আউট হন শার্দুল ঠাকুর। শেষের দিকে কিছুটা মারকাটারি ব্য়াটিং করেন ললিত যাদব ও রভম্য়ান পাওয়েল। ১৮৭ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ৩৭ রান করে আউট হন ললিত যাদব। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান। ওবেড ম্যাককয়কে ৩ বলে তিনটি ছয় মেরে দিয়েছেন রভম্যান পাওয়েল। তিন নম্বর ছয়টি ফুলটস কোমড়ের উপর ছিল। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার নো বল দেয়নি। যা নিয়ে তৈরি হয় সমস্য়া। দলকে উঠে আসতে বলেন পন্থ। পরে ওয়াটসন গিয়ে তাকে সামলান। টিভি রিপ্লে -তে বলটি দেখে ধারাভাষ্য়কাররা সকলেই বলটি নো ছিল বলে জানান। খেলা শুরু হলে শেষ বলে আউট হন পাওয়েল। ৩৬ রান করেন তিনি। ১৫ রানে ম্যাচ জিতে লিগ টেবলের শীর্ষস্থানে উঠে এল রাজস্থান রয়্যালস।