আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) দলকে ক্রমশ গ্রাস করছে করোনা (Coronavirus)আতঙ্ক। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ডাগ আউটে পাওয়া যাবে না রিকি পন্টিংকে।
দল জয়ের রাস্তায় ফিরলেও কোভিড সমস্যা যেন কিছুতেই কাটছে না দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্দরে। ইতি মধ্যেই করোন আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লির দুই বিদেশী ক্রিকেটার মিচেল মার্শ , টিম সেইফার্ট সহ মোট ৮ জন। মিচেল মার্শকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচ পঞ্জাব কংসেপ বিরুদ্ধে মাঠে নেমে দুরন্ত জয় পেয়েছিল ঋষভ পন্থের। ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফর্ম করে একতরফাভাবে ম্যাচ জিতেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। হার ও দলে কোভিডের থাবার মধ্যে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দিল্লির জয়টা অনেকটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের। কিন্তু শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার আগে জোর ধাক্কা খেল দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির। এই ম্যাচে ডাগ আউটে পাওয়া যাবে না দিল্লি ক্যাপিটালস কোচ রিকি পন্টিংকে।
কোভিডের কারণেই রাজস্থান ম্যাচে মাঠে থাকছেন না রিকি পন্টিং। তবে আশার কথা হল দিল্লি ক্যাপিটালস কোচ কোভিড আক্রান্ত হননি। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দিল্লির সমস্ত ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং পরিবারের সদস্যদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়। সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও পন্টিংয়ের পরিবারের এক সদস্যের ফল পজিটিভ এসেছে। পন্টিং নিজেও নেগেটিভ। তবে পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসায় তাকে কিছুদিনের দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকতে হবে রিকি পন্টিংকে। আইপিএলের কোভিড বিধি কারণেই আজকের ম্যাচে ডাগআউটে থাকতে পারবেন না পন্টিং। পন্টিং না থাকায় প্রবীণ আমরে, অজিত আগরকর, জেমস হোপস এবং শেন ওয়াটসনের দলকে কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে হবে। কিন্তু দলের প্রধান কোচ না থাকায় তা ঋষভ পন্থের দলের কাছে ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল দিল্লি দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। ঠিক তারপরের দিনই দলের স্পোর্টস মাসাজ থেরাপিস্ট চেতন কুমারের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল দলের অজি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ , টিমের ডাক্তার অভিজিৎ সালভি ও সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট টিমের সদস্য আকাশ মানের করোনা আক্রান্ত হন। তারপর কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ আসে টিম ,সেইফার্টের। এবার দলের কোনও ক্রিকেটার আক্রান্ত না হলেও রিকি পন্টিংয়ের পরিবারের সদস্য আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় টিম ম্যানেজমেন্ট। সক্রমণ অনেকটাই ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ২০২২ আইপিএলও সম্পূর্ণ কোভিড মুক্ত না করতে পারায় চিন্তিত বোর্ডের কর্তারা।