শনিবার আইপিএল ২০২২-এর দশম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস-এর বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ১৭১-৬ রান তুলল গুজরাট টাইটান্স। শুভমান গিল ৪টি ছয় ও ৬টি চারের সহায়তায় মাত্র ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেললেন।
শনিবার আইপিএল ২০২২-এর দশম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস-এর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেললেন শুভমান গিল। ৪টি ছয় ও ৬টি চারের সহায়তায় তিনি মাত্র ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেললেন। চার-ছয়ের পাশাপাশি গোটা ইনিংস জুড়ে দৌড়ে রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখলেন তিনি। গোটা ইনিংসে মাত্র ৫টি ডট বল খেলেছেন তিনি। মূলত তাঁর ইনিংসে ভর করেই ২০ ওভারে ১৭১-৬ রান তুলল গুজরাট টাইটান্স। জিততে গেলে ১৭২ রান তুলতে হবে ঋষভ পন্থদের।
এদিন টসে জিতে গুজরাটকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এদিন দিল্লি দলে, নাগারকোটির বদলে খেলানো হয় বাংলাদেশি জোরে বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে। প্রথম ওভারেই ফিজের কাটারের শিকার হন জিটি ওপেনার ম্যাথু ওয়েড (১)। ক্রিজে এসেছিলেন বিজয় শঙ্কর, যাঁকে ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে বিসিসিআই বলেছিল ত্রিমাত্রিক ক্রিকেটার। এদিনও থ্রিডি ক্রিকেটারের ব্যাট চলল না। অক্ষর প্যাটেলের স্পিনের সামনেই তাঁকে বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে-র ওভারের পর কূলদীপ যাদব এসেই তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন। শঙ্কর ২০ বল খেলে করেন ১৩ রান। এদিনও ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে একটি উইকেট নিলেন কূলদীপ। সেই সময় জিটির রান ছিল ৪৪-২।
উল্টোদিকে দুটি উইকেট পড়ে গেলেও, অন্যপ্রান্তে প্রথম থেকেই আধিপত্য নিয়ে খেলে যাচ্ছিলেন প্রাক্তন নাইট শুভমান গিল। বিজয় শঙ্কর আউট হওয়ার পর, তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। অধিনায়ক হওয়ার পর নিজের খেলা অনেকটাই বদলেছেন হার্দিক। আগের মতো প্রথম থেকেই বেদম প্রহারের রাস্তায় না গিয়ে, অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন। এদিনও শুভমান গিলকে ড্রাইভারের সিটে দেখে, তিনি একটা দিক ধরে খেলছিলেন। মাঝের ওভারে তাঁরা ৪৭ বলে ৬৫ রানের জুটি বেঁধে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেন। শেষের দিকে ধীরে ধীরে রান তোলার গতি বাড়াচ্ছিলেন গিল ও পাণ্ডিয়া। তবে ১৪তম ওভারের একেবারে শেষ বলে জুটি ভাঙলেন খলিল আহমেদ। লং অনে ছয় মারতে গিয়ে রোভম্যান পাওয়েলের হাতে ধরা পড়েন হার্দিক। ৪টি চার মেরে ২৭ বলে ৩১ রান করেন গুজরাট অধিনায়ক।
হার্দিক আউট হয়ে গেলেও, মিলারকে নিয়ে দলের ইনিংস আগের মতোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন শুবমান। তবে, ১৮তম ওভারে ফিরে এসে তাঁকেও ফিরিয়ে দেন সেই খলিল আহমেদ। এদিন ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন ভারতীয় দলের এই জোরে বোলার। সেই সময়ে দলের রান ছিল ১৪৫-৪। এরপর ক্রিজে ছিলেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক - মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া (১৪)। তবে, এদিন চলল না তেওয়াটিয়ার ব্যাট। শেষ ওভারে বল করতে এসে মুস্তাফিজ তেওয়াটিয়া-সহ ফিরিয়ে দিলেন অভিনব মনোহরকেও। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন এই বাংলাদেশি বোলার। শেষ ওভারেও রান দিলেন মাত্র ৪। শুভমান ব্যাট করার সময়, গুজরাট ২০০ পার করে যাবে বলে মনে হলেও, শেষ পর্যন্ত ১৭১-এই আটকে গেল গুজরাট। এটি ভাল স্কোর হলেও, জেতার মতো কি, সেটাই দেখার।