আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে মঙ্গলার মুখোমুখি গুজরাট টাইটানস ও পঞ্জাব কিংস (GT vs PBKS)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৪৩ রান করল গুজরাট। অর্ধশতরান করলেন সাই সুদর্শন। ৪ উইকেট নিলেন পঞ্জাবের কাগিসো রাবাডা। রান তাড়া করতে শিখর ধওয়ান, ভাবুকা রাজাপক্ষ ও লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাটে ভর করে ৪ ওভার আগেই ম্য়াচ জিতে নেয় পঞ্জাব।
গুজরাট টাইটানসের বিজয় রথ থামাল পঞ্জাব কিংস। প্রথমে অনবদ্য বোলিং। তারপর দুরন্ত ব্য়াটিং। কার্যত একতরফা ম্য়াচে ২৪ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে হারাল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দল। ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নির্ধারি ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করল গুজরাট টাইটানস। দলের সর্বোচ্চ ৫০ বলে ৬৫ রান করেন সাই সুদর্শন। এছাড়া ২১ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। অন্য কোনও ব্য়াটসম্যান ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। পঞ্জাব কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা। রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে জয়ের লক্ষ্য়ে পৌছে যায় পঞ্জাব কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ বলে ৬২ রান করেন শিখর ধওয়ান। এছাড়া ২৮ বলে ৪০ রান করেন ভানুকা রাজাপক্ষ। ১০ বলে ৩০ রানের বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানসের। ১৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের। ৯ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রানআউট হন শুবমান গিল। অপর ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা শুরুটা ভালো করেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২১ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এদিন মাত্র ১ রান করে ঋষি ধওয়ানের বলে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। এরপর ৬৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১ রানে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে আউট হন ডেভিড মিলার। একদিক থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিক থেকে এদিন দায়িত্ব নিয়ে ব্য়াটিং করেন সাই সুদর্শন। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন তিনি। ব্য়াট হাতে এদিন ব্যর্থ হন গুজরাটকে একাধিক ম্য়াচ জেতানো রাহুল তেওয়াটিয়া। সাই সুদর্শনের সঙ্গে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ করার পর আউট হন তিনি। দলের ১১২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১ রানে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন তেওয়াটিয়া। এরপর ক্রিজে এসেই খাতা না খুলে রাবাডার তৃতীয় শিকার হন রাশিদ খান। তবে অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন সাই সুদর্শন। ১২২ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে পঞ্জাব কিংসের। ২ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন প্রদীপ সাঙ্গোয়ান। ১২৯ রানে পড়ে অষ্টম উইকেট। রাবাডার বলে ৫ রান করে আউট হন লকি ফার্গুসন। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রান করে গুজরাট। ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সাই সুদর্শন।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন নতুন জুটি ইনিংসের শুরু করে পঞ্জাব কিংসের ইনিংস। শিখর ধওয়ানের সঙ্গে শুরু করেন জনি বেয়ারস্টো। তবে ওপেনিং জুটিতে রান আসেনি। ১০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। ১ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন জনি বেয়ারস্টো। এরপর পঞ্জাব কিংসের ইনিংসের রাশ ধরেন শিখর ধওয়ান ও ভানুকা রাজাপক্ষ। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। একের পর এক অনবদ্য শট খেলেন দুজনে। ঝড়ের গতিতে নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন ধওয়ান-রাজাপক্ষ জুটি। ৮৭ রানের পার্টনারশিপ করে দলের জযের ভিত তৈরি করে দেন তারা। ৯৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। ৪০ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষ। এরপর ক্রিজে আসেন লিয়াম লিভিংস্টোন। দুজন মিলে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যায় দলকে। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন শিখর ধওয়ান। অপরদিকে এসেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াটিং করেন লিভিংস্টোন। মহম্মদ শামির ১৬ তম ওভারে ২৮ রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন। ১১৭ মিটারের আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম বড় ছয় মারেন লিভিংস্টোন। ১৬ ওভারে ১৪৫ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় পঞ্জাব। ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন শিখর ধওয়ান। ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৪ ওভার হাতে রেখে জয়ের ফলে রান রেট অনেকটাই বাড়ে পঞ্জাবের। ৮ নম্বর স্থান থেকে সোজা ৫ নম্বরে উঠে এল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দল।