
আইপিএলের ইতিহাসে চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই দুই দল বিগত ১৪ বছর ধরে যখনই মুখোমুখি হয়েছে সেই ম্য়াচ ঘিরে আলাদাই উন্মাদনা ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এবার আইপিএলের ১৫ তম মরসুমে ফের একবার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দল। শ্রেয়স আইয়রের কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল ২০২২-এ এখনও পর্যন্ত ৩টি ম্য়াচ খেলে দুটিতে জয় পেয়েছে। অপরদিতে, প্রথম দুটি ম্য়াচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে রোহিত শর্মার দলকে। ফলে বুধবারের ম্য়াচ একদিকে যেমন মরসুমের তৃতীয় জয় ও লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার লক্ষ্যে নামছে কেকেআর। ঠিক অপরদিকে, প্রথম জয়ের খোঁজে ও প্রতিযোগিতায় ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফলে মেগা ম্য়াত জিততে মরিয়া দুই দল।
তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইতিহাস কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। দেশেরর বাণিজ্য নগরীর দলের বিরুদ্ধেই আইপিএলে সবথেকে বেশি ম্য়াচ হারতে হয়েছে সিটি অফ জয়কে। দুই ম্য়াচের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যানের বিচার করলে কেকেআরের থেকে অনেক এগিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে দুই দল মোট ২৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেখান মোট ২২টি ম্য়াচ জিতেছে রোহিত শর্মার দল। অপরদিকে মাত্র ৭টি ম্য়াচ জিতেছে বর্তমান কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়রের দল। ফলে এবার মরসুম ভালো শুরু না হলেও বিগত পরিসংখ্যান কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। অপরদিকে, ম্য়াচ জেতার পাশাপাশি পরিসংখ্যানও কিছুটা শোধরাতে চাইবে কেকেআর।
শুধু আইপিএলের ইতিহাসে মোট পরিসংখ্যান নয়, শেষ পাঁচ ম্য়াচের সাক্ষাতেও অনেকটাই এগিয়ে এগিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলে শেষ পাঁচ ম্য়াচে চারটি ম্য়াচেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। অপরদিকে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতেছে ২ বারের আইপিএল চ্য়াম্পিয়ন। গত মরসুমে দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যান ছিল ১-১।
প্রসঙ্গত,বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্য়াচ অনুষ্ঠিত হবে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশন স্টেডিয়াম অর্থাৎ পুণেতে। হাইস্কোরিং ম্য়াচ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেকেআর ও মুম্বই দুই দলেই একাধিক ম্য়াচ উইনার রয়েছে। তবে এবার আইপিএলে দুই দলের ব্য়াটিং-বোলিং বিভাগের সার্বিক শক্তির তুলনা করলে মুম্বইয়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কলকাতা। টস গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও, আজকের ম্যাচে কেকেআরের পক্ষেই বাজি ধরছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।