
আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে ব্য়াটে বলে টানটান লড়াই। প্রথমে ও শেষে অনবদ্য বোলিং দিল্লির কুলদীপ যাদব, মুস্তাফিজুর রহমান, চেতন সাকারিয়দের। ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে কেকেআরের হয়ে লড়াকু ইনিংস নীতিশ রানা, শ্রেয়স আইয়র ও রিঙ্কু সিংয়ের। ম্য়াচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্য়াপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে কেকেআর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন নীতিশ রানা। এছাড়া ৩৭ বলে ৪২ করেন শ্রেয়স আইয়র। ১৬ বলে ২৩ রান করেন রিঙ্কু সিং। এছাড়া অন্য়ান্য কেই ১০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেনি। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও ৩টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন চেতন সাকারিয়া ও অক্ষর প্য়াটেল।
এদিন কেকেআরের হয়ে ইনিংস শুরু করেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ভেঙ্কটেশ আইয়র। কিন্তু ফের ব্যর্থ হয় নাইটদের ওপেনিং পেয়ার। ৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। চেতন সাকারিয়ার বলে ৩ রান করে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। এরপর ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়র। ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে নাইটদের। ৬ রান করে অক্ষর প্য়াটেলের বলে আউট ভেঙ্কটেশ আইয়র। এই ম্য়াচ সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেনি বাবা ইন্দ্রজিৎ। দলের ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন বাবা ইন্দ্রজিৎ। এরপর ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই কুলদীপ যাদবের দ্বিতীয় শিকার হন সুনীল নারিন। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন শ্রেয়স আইয়র ও নীতিশ রানা। দুজন মিলে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। কিন্তু যখন রানের গতিবেগ বাড়ানো শুরু করেন তখনই পঞ্চম উইকেট পড়ে কেকেআরে। দলের ৮৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪২ রানে কুলদীপ যাদবের তৃতীয় শিকার হন শ্রেয়স আইয়র। আর একই ওভারে ৩ বলে খেলে খাতা না খুলে কুলদীপের চতুর্থ শিকার হন আন্দ্রে রাসেল।
শ্রেয়স আইয়র ও নীতিশ রানার পার্টনারশিপ যে চাপটা কিছুটা কমিয়েছিল, ফের পরপর উইকেট পড়ায় চাপে পড়ে যায় কেকেআর। তবে অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান নীতিশ রানা। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন তিনি। কেকেআরকে সম্মানজনক স্কোরের দিকে নিয়ে যান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিং। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। একইসঙ্গে অনবদ্য ব্য়াটিং করে ৩০ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ নীতিশ রানা। শেষ ওভারে গিয়ে বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন রিঙ্কু। ২৩ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন তিনি। ৬২ রানের পার্টনারশিপ করেন রানা ও রিঙ্কু। শেষ ওভারে ৫৭ রান করে আউট হন নীতিশ রানা। খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান টিম সাউদি। শেষ ওভারে তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করল কেকেআর। দিল্লি ক্যাপিটালসের টার্গেট ১৪৭ রান।