
আইপিএলে লিগ টেবিলের এক ও দুই নম্বর দলের লড়াই। গুজরাট টাইটানস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের দ্বৈরখে প্রথম ২০ ওভারে ভালো বোলিং করল কেএল রাহুলের দল। অপরদিকে গুজরাটের হয়ে লড়াকু ইনিংস খেললেন শুবমান গিল। এছাড়া কিছুটা লড়াই করেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া। ম্যাচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়র হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন শুবমান গিল। এছাড়া ২৬ রান করেন ডেভিড মিলার ও ২২ রান করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আভেস খান। একটি করে উইকেট নেন মহসিন খান ও জেসন হোল্ডার।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানসের। ৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৫ রান করে মহসিন খানের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। বেশ কয়েকটি ম্য়াচ পর দলে ফিরেও ব্য়াট হাতে বড় রান পাননি ম্য়াথু ওয়েড। দলের ২৪ রানের মাথায় ১০ রান করে আভেস খানের বলে আউট হন ওয়েড। এরপর ক্রিজে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুবমান গিলের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দলের স্কোর বোর্ড। ভালো শুরু করলেও বেশি বড় পার্টনারশিপ করতে পারেননি তারা। ২৭ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন গুজরাট অধিনায়ক। ১১ রান করে আভেস খানের বলে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের।
এরপর গুজরাটের ইনিংসের রাশ ধরেন শুবমান গিল ও ডেভিড মিলার। দুজন মিলে প্রথমে একটু ধীর গতিতে হলেও পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন। দুজন মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। অবশেষে ১০৩ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২৬ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন ডেভিড মিলার। এরপর ক্রিজে আসেন রাহুল তেওয়াটিয়া। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শুবমান গিল। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষের দিকে রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন গিল ও তেওয়াটিয়া। তবে আটোসাঁটো বোলিং করেন লখনউ বোলাররা। শেষ ওভারে কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং করেন গিল ও তেওয়াটিয়া। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৪ রান কর গুজরাট। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন শুবমান গিল ও ২২ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া। লখনউ সুপার জায়ান্টসের টার্গেট ১৪৫ রান।