RCB vs LSG- রজত পাতিদারের দুরন্ত সেঞ্চুরি, লখনউকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল আরসিবি

আইপিএল ২০২২ প্লে অফে (IPL 2022) -এম্য়াচে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (RCB vs LSG)। প্রথমে ব্য়াট করে ২০৭ রান করল আরসিবি। সেঞ্চুরি করলেন রজত পাতিদার।

Web Desk - ANB | Published : May 25, 2022 4:44 PM IST

আইপিএল প্লে অফের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচের প্রথমার্ধে  লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দুরন্ত ব্যাটিং করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।  রজত পাতিদারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি। ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করে এবারের আইপিএলে সবথেকে কম বলে সেঞ্চুরি করে পাতিদার। আক্রণাত্মক ইনিংস দীনেশ কার্তিকের। চার-ছয়ের ফুলঝুরি দেখল ক্রিকেট প্রেমিরা। পাতিদার-ডিকের ব্যাটে ভর করে দুশো পার পৌছে যায় আরসিবি। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে  ২০৭ রানে করল আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১২ রান করেন রজত পাতিদার। এছাড়া ৩৭ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ২৫ রান করেন বিরাট কোহলি।  লখনউের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মহসিন খান, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, আবেশ খান ও রবি বিষ্ণোই।

 

 

এদিন টস হেরে ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রথম ওভারেই দলের ৪ রানের মাথায় খাতা না খুলেই মহসিন খানের বলে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন পাতিদার। আর সাবধানি ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। দুজনেই বেশ কিছু অনবদ্য শট উপহার দেন। সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন বিরাট-পাতিদার জুটি। দলের ৭০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় আরসিবি। ২৫ রান করে আবেশ খানের বলে আউট হন বিরাট কোহলি। এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। দলের ৮৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সেওয়েল।

 

 

একদিক থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রজত পাতিদার। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। অপরদিকে মাহিপাল লোমর তাকে কিছুটা সঙ্গ দিলেও বড় পার্টনারিশপ করতে পারেননি। ২৯ রান যোগ করেন তারা। ব্যক্তিগত ১৪ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন লোমর। ১১৫ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। এরপর দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে রজত পাতিদার ও দীনেশ কার্তিক। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলেন পাতিদার। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন পাতিদার-ডিকে জুটি। শেষের দিকে বিধ্বংসী রূপ নেন পাতিদার। প্রথম আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে আইপিএল প্লে অফে সেঞ্চুরি করেন রজত পাতিদার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন কার্তিকও। দুজন মিলে দুশো পার নিয়ে যায় স্কোর। শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে আরসিবি।৯২ রানের পার্টনারশিপ করেন পাতিদার ও কার্তিক জুটি। ১১২ রানে অপরজিত থাকেন পাতিদার ও কার্তিক অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের টার্গেট ২০৮ রান। 

Read more Articles on
Share this article
click me!