
এবার আইপিএলে একেবারেই নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না বিরাট ,কোহলি। প্রতিযোগিতায় তিনটি গোল্ডেন ডাকও করেছেন তিনি। যা তার আইপিএল কেরিয়ারে প্রথমবার। সমালোচনার সম্মুখীনও হতে হয়েছে প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ককে। বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শও পেয়েছেন বিরাট। কিন্তু ব্যাটে রান না আসা পর্যন্ত, নিজেকে পুরোনো ছন্দে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম তো দুরস্ত চোখে ঠিকঠাক ঘুমও আসছিল না বিরাটের। তাই নেটে দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে গিয়েছেন অনুশীলন। এরলআগে এবারের আইপিএলে একটি অর্শধতরান করেছিলেন কোহলি। কিন্তপ তাও ধীর গতিতে করায় বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন।তবে নিজের ফর্ম নয়, দলের প্রয়োদনের সময়ে রান না করতে পারার যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল কোহলিকে। অবশেষে দলের ডু অর ডাই ম্য়াচে লিগ টপার গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠল 'কিং কোহলির' ব্যাট। সেই পুরোনো ছন্দে পাওয়া গেল 'রান মেশিনকে'। দলতে এনে দিলেন মহামূল্যবান জয়।
গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ছন্দে দেখা যাচ্ছিল বিরাট কোহলিকে। ৫৪ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। ৮টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানে তার কামব্যাক ইনিংস। ম্য়ান অব দ্যা ম্য়াচও নির্বাচিত হন বিরাট। একইসঙ্গে প্লে অফে আরসিবির ওঠার আশাও জিইয়ে রাখলেন কোহলি। ম্যাচ শেষে বিরাট জানান,'কাল ৯০ মিনিট নেটে ব্যাটিং করেছি। নিজের শক্তি ও দুর্বলতার উপর কাজ করেছি। আজ ব্যাটিং করতে আসার সময় অনেক শান্ত এবং খোলামনে ছিলাম। শামির বলে প্রথম শট মারার সময়েই বুঝে গিয়েছিলাম, বোলারদের মাথার উপর দিয়ে আজ শট খেলতে পারি। বুঝতে পেরেছিলাম আজই সেই রাত যে দিন আমার ব্যাট থেকে রান পাওয়া যেতে পারে।' এছাড়াও কোহলি বলেন,'খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটা। আমাকে ভাল খেলতেই হত। দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছিলাম না, দলকে জেতাতে পারছিলাম না, এই ব্যাপারটা আমাকে হতাশ করে তুলেছিল। পরিসংখ্যান নিয়ে অত ভাবি না। কিন্তু দলকে জেতাতে না পারলে বেশি চিন্তায় পড়ি। আজ এমন একটা ম্যাচ ছিল যেখানে দলের হয়ে ম্যাচে একটা প্রভাব ফেলতে পেরেছি। এই জয় দলকে একটা ভাল জায়গায় নিয়ে গেল।'
প্রসঙ্গত,আরসিবি বনাম গুজরাট ম্য়াচে টস জিতে ব্য়টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হার্দিক পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করল গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া ৩৪ রান করেন ডেভিড মিলার ও ৩১ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। শেষের দিকে ঝোড় ১৯ রানের ইনিংস খেলে রাশিদ খান। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন হ্যাজেলউড ও একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ও হাসরঙ্গা। রান তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন বিরাট কোহলি। এছাড়া ৪৪ রান করেন ফাফ ডুপ্লেসি ও ৪০ রান করেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। গুজরাটের হয়ে দুটি উইকেট নেন রাশিদ খান। ৮ উইকেটে ম্য়াচ জিতে নিজেদের প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল আরসিবি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হারলে প্লে অফে পৌছে যাবে বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিরা।
আরও পড়ুনঃঅনুষ্কা শর্মা বাদেও নাকি ৫ অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম ছিল বিরাট কোহলির, জানুন কারা তারা