হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কোচিত ইনিংস, সানরাইজার্সকে ১৬৩ রানের টার্গেট দিল গুজরাট

আইপিএলের গুরুত্বপর্ণ ম্য়াচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাট টাইটানসের খেলায় প্রথমার্ধে ব্য়াটে-বলে টানটান লড়াই। একদিকে ভুবি, জানসেন, সুন্দর, নটরাজনদের বল হাতে দুরন্ত লড়াই। অপরদিকে ব্য়াট হতে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কোচিত ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ অভিনব মনোহরের। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছড়া ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন অভিনব মনোহর। এছাড়া গুজরাটের কোনও ব্যাটসম্যান ২০-র উপর স্কোর করতে পারেনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও টি নটরাজন। 

এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঝোড়ো করেছিল গুজরাট টাইটানসের দুই ওপেনার শুবমান গিল ও ম্য়াথু ওয়েড। কিন্তু তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ২৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ৭ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন শুবমাান গিল। এরপর কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ১১ রান করে টি নটরাজনের বলে আউট হন সাই সুদর্শন। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। অপরদিকে ম্য়াথু ওয়েড সেট হয়েও আউট হয়ে যান। দলে ৬৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৯ রান করে উমরান মালিকের বলে আউট হন তিনি। এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে একটা ছোট পার্টনারশিপ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনে মিলে দলের স্কোর বোর্ডে আরও ৪০ রান যোগ করেন। ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের। ১২ রান করে মার্কো জানসেনের বলে আউট হন ডেভিড মিলার। 

চার উইকেট হারিয়ে যখন কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল গুজরাট, সেখান থেকে ফের দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন হার্দিক পান্ডিয়া। অভিনব মনোহরকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান গুজরাট অধিনায়ক। হার্দিক এক থেকে উইকেট বাঁচিয়ে খেলা চালিয়ে যান,অপরদিক থেকে আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন অভিনব মনোরহর। দুজনে মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করে ফেলেন। ৫০ রানের পার্টনারশিপ করার পর আউট হন অভিনব মনোহর। ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে ভুবনেশ্বর কুনারের বলে আউট হন তিনি। ১৫৪ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে গুজরাটের। এরপর রাহুল তেওয়াটিয়া এসে মারকাটারিট ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন। ৬ রান করে রান আউট হন তিনি। শেষ ওভারে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ বলে খাতা না খুলে নটরাজনের বলে আউট হন রাশিদ খান। সব মিলিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে গুজরাট। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। ভুবি ও নটরাজনের ২ উইকেট ছাড়াও একটি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন ও উমরান মালিক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টার্গেট ১৬৩ রান।