আইপিএলে লাগাতার দ্বিতীয় হার কলকাতা নাইট রইডার্সের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জয় পেল ৭ উইকেটে। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৭৫ রান করে কেকেআর। জবাবে ১৩ বল বাকি থাকতে জয় পায় অরেঞ্জ আর্মি।
বাংলার নববর্ষে সমর্থকদের নিরাশ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সামনে কার্যত দাঁড়াতে পারল না শ্রেয়স আইয়রের দল। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় পেল অরেঞ্জ আর্মি। ম্য়াচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আইয়রের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন নীতিশ রানা। এছাড়া ২৫ বলে ৪৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল। ২৮ রান করেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন টি নটরাজন ও ২টি উইকেট নেন উমরান মালিক। রান তাড়া করতে নেমে রাহুল ত্রিপাঠীর বিধ্বংসী ৩৭ বলে ৭১ রানের ইনিংস ও আইডেন মার্করামের ঝোড়ো ৩৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যে সহজেই জয় পেয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাাদ। কেকেআরের হয়ে ২ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। এই ম্য়াচ জয়ের ফলে লিগ টেবিলে ভালো জায়গায় চলে এল অরেঞ্জ আর্মি।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি কেকেআরের। ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে নাইট রাইডার্সের। ৭ রান করে মার্কো জানসেনের বলে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। ২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে কেকেআরের। ৬ রান করে টি নটরাজনের বলে আউট হন ভেঙ্কটেশ আইয়র। এরপর সুনীল নারিন একটি ছয় মেরেই নটরাজনের দ্বিতীয় শিকার হন। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র ও নীতিশ রানা। দুজন মিলে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ করার ভাঙে জুটি। ৭০ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে কেকেআরের। ২৮ রান করে উমরান মালিকের বলে বোল্ড হন শ্রেয়স আইয়র। শেলডন জ্যাকসন ও নীতিশ রানা মিলে ৩৩ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১০৩ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে কেকেআরের। ৭ রান করে উমরান মালিকের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। তারপর আন্দ্রে রাসেল ও রানা মিলে স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। এই মরসুমে নিজের প্রথম অর্ধশতরান করেন নীতিশ রানা। ৩৯ রানের পার্টনারশিপ করার পর আউট হন রানা। ১৪২ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। নটরাজনের বলে ৫৪ রান করে আউট হন নীতিশ রানা। যদিও অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রাসেল। একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। অপরদিকে ৩ রান করে প্য়াট কামিন্স আউট হন ভুবির বলে। শেষ ওভারে অমন খানের উইকেট নিলেও সুচিত শেষ তিন বলে ১৬ রান মারেন রাসেল। ২৫ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করল কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সানরাইজার্স হায়দরাাদেরও। ৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ৩ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হন অভিষেক শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন রাহুল ত্রিপাঠী। কেন উইলিয়ামসন ভালো শুরু করেও বেশি সময় ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। ৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে সানরাইজার্সের। ১৭ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। এরপর ব্য়াট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা শুরু করেন রাহুল ত্রিপাঠী। বরুণ চক্রবর্তী থেকে সুনীল নারিন, প্যাট কামিন্স, উমেশ যাদব সকলকেই তুলোধনা করেন তিনি। মাত্র ২১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মার্করাম। ৯৪ রানের পার্টনারশিপ করে দলের জয় নিশ্চিৎ করেন দুজনে। ১৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৩৭ বলে ৭১ রান করে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী। ৬টি ছয় ও ৪টি চারে সাজানো তার ইনিংস। যদিও এরপর বিদ্ধংসী মেজাজে ব্য়াট করতে থাকেন আইডেন মার্করাম। তাকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্করাম। ৪টি ছয় ও ৬টি চারে সাজানো তার ইনিংস। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন পুরান। ১৭ ওভার ৫ বলে ১৭৬ রান তুলে জয় পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।