
আইপিএলের ডু অর ডাই ম্য়াচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের হাসি হাসল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে সঞ্জু স্যামসনের দল করে মাত্র ৯০ রান। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ৭০ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় রোহিত শর্মার দল। এই জয়ের ফলে প্লে অফে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল মুম্বই। অপরদিকে, শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হল রাজস্থানের। জেনে এই ম্য়াচের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি।
রাজস্থানের ব্যাটিং লাইনের ভরাডুবি-
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে টসে হারলেও, রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং লাইআপের এমন ভরাডুবি ঘটবে তা সমর্থকরা ভাবতেও পড়েনি। দলের চার জন ব্যাটসম্যান বাদে বাকিরা জোড়া সংখ্যায় পৌছতে পারেনি। দলের ৯০ রানের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ইভিন লিউস। নিয়মিত ব্যবধানে একের পর এক উইকেট হারানোর ফলে কোনও পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। যেই কারণে লড়াই করার মত স্কোর গড়তে পারেনি রাজস্থান।
মুম্বই পেসারদের অনবদ্য বোলিং-
ম্যাচে মুম্বই পেসারদের আগুনে বোলিং রোহিত শর্মার দলের সাফল্যের অন্যতম কারণ। মেগা ম্য়াচে টস জিতে যে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেননি রোহিত তা প্রমাণ করে দিয়েছেন পেসাররা। ন্য়াথান কুল্টার নাইল, জসপ্রীত বুমরা ও জিমি নিশামের আক্রমণে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে রাজস্থানের ইনিংস। কুল্টারনাইল নেন ৪ উইকেট, নিশাম নেন ৩ উইকেট ও বুমরার ঝুলিতে ২টি শিকার। যার ফলে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি রাজস্থান।
ইশান কিশানের অনবদ্য ব্য়াটিং-
মাত্র ৯১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ইশান কিশান। রোহিত শর্মা ২২ রান করে আউট হয়ে গেলেও মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে যান ইশান। নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। ২৫ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন ইশান কিশান। ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। মাঝে কয়েকটি ম্যাচ ফর্মে ছিলেন না ইশান কিশান। রানে ফিরে খুশি মুম্বই তারকা।
প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে রইল মুম্বই-
প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে এই ম্য়াচ ছিল মুম্বই ও রাজস্থান দুই দলের কাছেই ডু অর ডাই। ম্য়াচ হারের ফলে প্লে অফের লড়াইয়ে থেকে ছিটকে গেল সঞ্জু স্যানসনের দল। অপরদিকে শেষ ম্য়াচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতলে আশা থাকছে মুম্বইয়ের। তবে রাজস্থানকে যদি কলকাতা হারিয়ে দেয় বৃহস্পতিবার, তাহেল শুক্রবার বড় রানের মার্জিনে জিততে হবে মুম্বইকে। সেক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হবে রান রেট।