
করোনার ধাক্কায় বিধ্বস্ত দিল্লি ক্যাপিটালস দল। আক্রান্ত হচ্ছেন দলের একের পর এক সদস্য। এবারের আইপিএলও সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত না করতে পারায় উদ্বেগ বাড়ছে বিসিসিআইয়েপ অন্দরেও। সোম বার জানা গিয়েছিল দলের এক বিদেশী ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে দলের তরফ থেকে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু পরে জানা যায় কোভিড পজেটিভ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিদেশী ক্রিকেটার হলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার সবসময় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। প্রথমে দিল্লির ফিজিয়ো প্যাট্রিক ফারহার্ট করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর কাছে রিহ্যাব করছিলেন মার্শ। মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। দিল্লি দলের আরও বেশ কিছু সদস্য করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁদের কোনও উপসর্গ নেই।
দলে একের পর এক করোনার থাবায় বুধবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্য়াপিটালসের ম্যাচ ঘিরেও তৈরি হয়েছে নানা সমস্যা। এই ম্য়াচ হওয়ার কথা ছিল পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের মাঠে। কিন্তু দলের করোনার হানার পর মুম্বই থেকে আর পুণেতে যেতে পারেনি ঋষভ পন্থ, পৃথ্বি শ, ডেভিড ওয়ার্নাররা। মুম্বইতেই হোটেলবন্দী রয়েছেন তারা। তাই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ সরিয়ে আনা হয়েছে মুম্বইয়ের ব্রাবোন স্টেডিয়ামে। আশার বিষয় হল দিল্লি দলের বাকিদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার পঞ্জাব কিংসের ম্য়াচের আগে ফের তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট সকলের নেগেটিভ হলেই তবে বুধবার পঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ হবে।
আরও পড়ুনঃফের কী বিয়ে করলেন মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান, ভাইরাল ছবি ঘিরে প্রশ্ন নেট দুনিয়ার
আরও পড়ুনঃএ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়, আরসিবি তারকাদের বউ-প্রেমিকারা সত্যি 'ড্রিম গার্ল', দেখুন ছবি
আরও পড়ুনঃ'বোনের' সঙ্গে চুটিয়ে সেক্স, করে দিয়েছিলেন গর্ভবতী, এখন কেমন আছেন এই তারকা ক্রীড়াবিদ
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। তারপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপ বাতিল হওয়ার পর আরব আমিরশাহীতে বসেছিল আইপিএলের আসর। তবে সেখানেও সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত ভাবে প্রতিযোগিতা করা যায়নি। ২০২১ সালে ভারতের মাটিতে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। সেই সময় প্রতিযোগিতার মাঝ পথে একের পর এক ক্রিকেটার ও সদস্যরা আক্রান্ত হন কোভিডে। জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই। তারপর ফের টি২০ বিশ্বকাপের আগে মরু দেশে বসে আইপিএলের অর্ধেক পর্রের আসর। সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয় প্রতিযোগিতা। ২০২২-এও দেশের মাটিতে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর যেভাবে এক এক করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চিন্তা বাড়ছে বোর্ডের।