
ম্যাচ জিতলেও প্লে অফের ওঠার স্বপ্ন পূরণ হল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ২০২০ মরসুমের আইপিএলের চ্যাম্পিয়নরা ২০২১ মরসুমে বিদায় নিল লিগ পর্যায় থেকেই। এবারের মরুদেশের সফর স্মৃতি সুখকর হল না রোহিত শর্মার দলের। তবে শেষ ম্য়াচ জিতে মরসুম শেষ শেষ করল ৫ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। এদিনের ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ২৩৫ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৮৪ ও ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন ইশান কিশান ও সূর্যকুমার যাদব। রান তাড়া করতে নেমে যথেষ্ট লড়াই করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। মনীশ পাণ্ডে ৬৯ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেও ১৯৩ রানে থামতে হয় নিজামের শহরের দলকে।
এদিন ওপেন করতে নেমেই প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াট শুরু করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ওভার পিছু ১৫ রানের থেকে বেশি গড়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা। বিশেষ করে মারকাটারি ব্যাটিং করেন ইশান কিশান। পাওয়াপ প্লে শেষের আগেই ৮০ রান পেরিয়ে যায় মুম্বই স্কোর। মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান করে ফেলেন ইশান। ৮০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ১৮ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ১০ রান করেন তিনি। যদিও রানের গতি কমাননি ইশান কিশান। তবে ৩২ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বাঁ হাতি তরুণ তারকা।
এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। তিনিও বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন। তবে অপর দিক থেকে কোনও ব্য়াটসম্যান সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। তবে তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি মুম্বইয়ের। সূর্যকুমার যাদব একাই টেনে নিয়ে যায় দলকে। অপরদিকে পোলার্ড ১৩ ছাড়া অন্য কেউ দুই সংখ্যার রানে পৌছতে পারেনি। নিজের ইনিংস চালিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সূর্যকুমার। শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানে থামে মুম্বইয়ের ইনিংস। সানরাইজার্সে হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।
২৩৬ রানের পাহাড় প্রমাণ টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনিং ব্য়াটসম্যান জেসন রয় ও অভিষেক শর্মা। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন তারা। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা। ষষ্ঠ ওভারে ৬৪ রানের মাথা প্রথম উইকেট পড়ে হায়দরাবাদের। ৩৪ রানে করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন জেসন রয়। ৩৩ রানে করে জিমি নিশামের শিকার অভিষেক শর্মা। ৭৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে অরেঞ্জ আর্মির।
এরপর একদিক থেকে অনবদ্য ইনিংস খেলেন মনীশ পাণ্ডে। মহম্মদ নবি, আবদুল সামাদ, জেসন হোল্ডার, রাশিদ খান, ঋদ্ধিমান সাহারা ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হন। একমাত্র প্রিয়ম গর্গ কিছুটা সাথা দেন মনীশ পাণ্ডের। ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন মনীশ পাণ্ডে। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৪২ রানে ম্য়াচ জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।