
প্রথমে ব্য়াটিং, তারপর বোলিং। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে সুপার ১২ (Super 12)-এর কার্যত ডু অর ডাই ম্যাচে দুই বিভাগেই চূড়ান্ত ব্যর্থ ভারতীয় দল (India Team)। পরপর ২টি ম্যাচ হেরে সেমি ফাইনালে যাওয়ার আশা অনিশ্চিৎ হয়ে পড়ল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দলের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর সকলেই ভেবেছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘুড়ে দাঁড়াবে দল। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচের থেকেও খারাপ পারফর্ম করল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson)। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ও রবীন্দ্র জাদোজা কিছুটা (Ravindra Jadeja)লড়াই করায় ১১০ এ পৌছায় ভারতীয় দলের স্কোর। রান তাড়া করতে নেমে ডায়ার্ল মিচেলে ঝোড়ো ৪৯, কেন উইলিয়ামসনের ৩৩ ও মার্টিন গাপটিলের ২০ রাবনের সৌজন্যে ৩৩ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কিউইরা।
এদিন ভারতীয় দলে দুটি পরিবর্তন করা হয়। ওপেনিংয়ে চমক দেয় ভারতীয় দল। সূর্যকুমার যাদবের পরিবর্তে ভারতীয় দলে সুযোগ পান ইশান কিশান। অপরদিকে, ভুবনেশ্বর কুমারের পরিবর্তে দলে ফেরেন শার্দুল ঠাকুর। ওপেনিংয়ে কেএল রাহুলের সঙ্গে ইশান কিশানকে পাঠিয়ে চমক দেয় ভারতীয় দল। তবে কাজে আসেনি সেই চমক। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে ভারতীয় দলের উপর। ব্যাট এদিন চূড়ান্ত ফ্লপ হয় রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, ইশান কিশান, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থরা। হার্দিক পান্ডিয়া ২৩ ও রবীন্দ্র জাদেজা ২৬ রানের ইনিংস খেলায় ১১০ রানে পৌছায় ভারতীয় দল। তা নাহলে আরও লজ্জার সম্মুখীন হতে হত বিরাট কোহলির দলকে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এদিন অনবদ্য বোলিং করেন ট্রেন্ট বোল্ট, ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনাররা। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২টি উইকেট পান সোধি ও একটি করে উইকেট নেন সাউদি ও মিলনে।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট শুরু করেন দুই নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ডায়ার্ল মিচেল। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি গাপটিল। ২০ রান করে বুমরার শিকার হন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ড ইনিংসের রাশ সম্পূর্ণ ধরে নেয় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ডায়ার্ল মিচেল। একদিকে মারমুখী ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন মিচেল অপরদিকে ঠান্ডা মাথায় তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন উইলিয়ামসন। প্রয়োজন অনুযায়ী তিনিও হাত খোলেন। দুজনে মিলে ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়। দলের ৯৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে কিউদের। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের সৌজন্যে ৩৫ বলে ৪৯ রান করে বুমরার বলে আউট হন ডায়ার্ল মিচেল। শেষে ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসনে মিলে দলকে জয় এনে দেয়। ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কিউই অধিনায়ক। ২ রানে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। এই জয়ের ফলে সেমি ফাইনালে যাওয়ার আশা টিকে থাকল নিউজিল্যান্ডের। অপরদিকে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়ল ভারত। শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলেও, সেমিতে ওঠার অঙ্ক খুবই কঠিন বিরাট ব্রিগেডের।