প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে লকডাউন। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে রয়েছে আইপিএল। আশার আলো দেখা দিলেও, কবে আইপিএল হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আইপিএল বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বিসিসিআইকে। তারপরও এতদিন ক্রিকেটার ও বিসিসিআই কর্মীদের বেতন নিয়ে কোনও সমস্যা হয়য়ি। অন্য খাতে খরচ কমিয়ে সকলকে সময় মত বেতন দেওয়ার পন্থা অবলম্বন করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিসিসিআই। কারণ সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই কথা দিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের স্বার্থ সবার আগে। কিন্তু তখনও সৌরভ জানতেন না প্রশাসক হিসেবে তাকে মোকাবিলা করতে হবে বিশ্ব মহামারীর সঙ্গে। অনেক চেষ্টা করেও অবশেষে পরিস্থিতির কারণে সমস্যায় পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ অবশ্যই করোনা ভাইরাস ও তার জেরে আর্থিক বিপূল ক্ষতি।
আরও পড়ুনঃদুই যুযুধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, অসাধ্য সাধন করে অবশেষে মেলাল ফুটবল
মহামারীর কারণে সমস্যার শেষ নেই বিসিসিআইয়ের। খনো ঘরোয়া ক্রিকেটারদের প্রাপ্য অর্থ মেটাতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রঞ্জি ট্রফি, মুস্তাক আলি ট্রফি খেলার পরও এখনো অনেক ক্রিকেটার নিজেদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাননি। গোটা মরসুম খেলে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা আয় করেন ঘরোয়া ক্রিকেটাররা। কিন্তু এবার অনেক ক্রিকেটারই সেই প্রাপ্য অর্থ হাতে পাননি এখনও। ম্যাচ ফি ছাড়াও বিসিসিআইয়ের লাভের অংশের ভাগ পাওয়ার কথা রয়েছে ক্রিকেটারদের। পাননি সেই টাকাও। আইপিএলে ঘোরয়া সব ক্রিকেটার সুযোগ পাননা। তাদের জীবন যাত্রা চলে ঘরোয়া ক্রিকেটের টাকা দিয়েই। কিন্তু টানা লকডাউনের জেরে খেলা বন্ধ, তারউপর বকেয়া টাকা না পেয়ে ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুনঃপরের মরসুমে কি হতে চলেছে এটিকে-মোহনবাগানের জার্সির রং,ইঙ্গিত দিলেন ক্লাব কর্তারা
আরও পড়ুনঃফুটবল বিশ্বে বড় খবর,অবসর ভেঙে মাঠে ফিরছেন রোনাল্ডিনহো
বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ অরুন ধামাল বলেছেন, টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য এমন হয়েছে। হয়তো কোনও রাজ্য সংস্থার তরফ এখনো বিসিসিআইয়ের কাছে ইনভয়েস পাঠানো হয়নি। ইনভয়েস পেলেও তার সত্যতা যাচাই করা হয়ে ওঠেনি লকডাউনের জেরে। তাই অর্থ দিতে দেরি হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, প্লেয়ারদের সমস্যা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন বিসিসিআই কর্তারা। যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ বিসিসিআই প্রেসিডেন্টও।