
কারও সম্পর্কে প্রশংসা হোক ও আর সমালোচনা, মিডিয়ার সামনে কখনই মুখ খুলতে দুবার ভাবেননি তিনি। অনেক সময় বিতর্কেও জড়িয়েছেন, আবার কোনও সময় প্রশংসিতও হয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটে এমনই এক চরিত্রের নাম রবি শাস্ত্রী। এবার নিজজের সম্পর্কেই মন্তব্য করে বসলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। তিনি আইপিএল খেললে নিলানে কত দর উঠত এই প্রশ্নের অকপট জবাব দিলেন তিনি। আর এমন দর বললেন যা পেলে আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে দামি ক্রিকেটারদের তালিকায় জায়গা করে নিতেন প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
আইপএল থেকে ফের সঞ্চালনার কাজে ফিরেছেন রবি শাস্ত্রী। যা দেখে খুশি ক্রিকেট প্রেমিরা। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে মেয়াদ শেষের পর তিনি কী করবেন তা নিয়ে সকলের কৌতহুল ছিল। ধীরে ধীরে নিজের কাজের মাধ্যমে সব জবাব দিচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। এরই মধ্যএ এক আন্তর্জাতিক স্পোর্টস চ্যালে নের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। সেখানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তাদের সময় যদি আইপিএল থাকত বা তিনি যদি আইপিএল খেলতেন নিলামে তার কত দর উঠত। উত্তর দেওয়ার জন্য কোনও সময় না নিয়েই নিজস্ব ভঙ্গিতে জবাব দেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন,'হেসে খেলে ১৫ কোটির ব্র্যাকেটে থাকব। হেসে খেলে যে কোনও দলের অধিনায়ক হব। না হওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। এর জন্য এত বুদ্ধি খাটানোর কোনও প্রয়োজনই নেই।' রবি শাস্ত্রীর এই সোজাসাপটা জবাবের পর এই বিষয়ে আর কোনও প্রশন করতে পারেননি সঞ্চালক। রবি শাস্ত্রীর আত্মবিশ্বাস তাকে অবাক করেছিল।
প্রসঙ্গত, নিজের ক্রিকেটে কেরিয়ারে ১২ বছর ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন রবি শাস্ত্রী। ১৯৮১ সালে থেকে ১৯৯২ সাল। এই সময় ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে অলরাউন্ডার হিসেবে নাম করেছিলেন শাস্ত্রী। টেস্ট ক্রিকেটে ৮০ ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। ব্য়াট হাতে করেছেন ৩৮৩০ রান ও বল হাতে নিয়েছেন ১৫১ উইকেট। পাশাপাশি ১৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন রবি শাস্ত্রী। সেখানে ৩১০৮ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ১২৯টি উইকেট। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ধারাভাষ্যকর হিসেবে বিশ্ব জুড়ে নাম করেছিলেন রবি শাস্ত্রী। তার কন্ঠে ক্রিকেট ম্য়াচের বর্ণনা এক আলাদাই মাত্রা পায়। পাশাপাশি দুই দফায় সাক বছর ভারতীয় দলের কোচিংয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের পর কোচ হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হয়।
আরও পড়ুনঃপুণেতে মুখোমুখি রাজস্থান-হায়দরাবাদ, কে জিততে পারে ম্য়াচ, কী বলছে পিচ রিপোর্ট