এদিনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ আরও বলেন, সারা জীবন কেউ প্রশাসক থাকতে পারে না। সবাইকেই জীবনের একটা সময় প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। তবে তার পাশাপাশি বোর্ড সভাপতি হয়ে নিজের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন প্রশাসক হিসেবে প্রথম তিন বছর তিনি উপভোগ করেছেন
বোর্ড সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভেঙে গিয়েছে তাঁর আর জয় শাহের জুটি। তবে এই বিষয় নিয়ে এই প্রথম তিনি মুখ খুললেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি বলেন, 'ক্রিকেটে একটা শতরান নিজেকে বিশ্বাস করায় যে পরের দিন খেলতে নেমে ভাল খেলব। নিজের কাছে সেই ক্ষমতাটা আছে ভাল খেলার। কারণ আমার জীবন একটি বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে। আত্মবিশ্বাস। কারণ সাবাইকেই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সবাইকে রিজেক্ট করা হয়। সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এটাই জীবনচক্র। তবে সবকিছুতেই একটা জিনিস থাকে যা হল নিজের ওপর বিশ্বাস। যা তোমাকে জীবনচক্রে চলতে সাহায্য করবে। '
এদিনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ আরও বলেন, সারা জীবন কেউ প্রশাসক থাকতে পারে না। সবাইকেই জীবনের একটা সময় প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। তবে তার পাশাপাশি বোর্ড সভাপতি হয়ে নিজের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন প্রশাসক হিসেবে প্রথম তিন বছর তিনি উপভোগ করেছেন। তবে ক্রিকেট জীবন তাঁর কাছে আরও বেশি কঠিন ছিল। তিনি আরও বলেন গত তিন বছরে ভারতীয় ক্রিকেট অনেক কিছু পেয়েছে। তিনি সেই তালিকায় সরাসরি বলেন, কোভিড মহামারির মত চরম দুঃসময় সফলভাবে আইপিএল আয়োজন করেছেন। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় মহিলা দল রুপো পেয়েছে। ভারতের পুরিষ দলও বিদেশের মাটিতে তাঁরই সময় সাফল্য পেয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন ক্রিকেটার হিসেবে সর্বদাই তাঁর জীবন আলাদা ছিল। তবে তিনি এদিন কিছুটা দার্শনিকের মতই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজের ওপর আস্থা রাখা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা।
বিসিসিআই সভাপতি পদের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আইসিসিতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তাঁর সামনে সেই সুযোগ নেই। তাঁকে নিয়ে মোটের ওপর বিভক্ত ভারতীয় ক্রিকেট। অনেকেই দাবি রাজনীতির শিকার ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ। বিজেপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হওয়ার জন্যই তাঁর ওপর কোপ পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতার ফল ভুগতে হচ্ছে সৌরভকে। এই পরিস্থিতিতে সিএবি-র প্রাক্তন সচিব বিশ্বরূপ দে বলেন, 'আমি সৌরভরকে পরামর্শ দেব বড় পদে থেকে বিজ্ঞাপনের বাইরে যেতে হবে। আজ যদি দেখি মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন আর ও বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন সেটা ভাল দেখায় না।'