টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার ১২ গ্রুপ ২-এর প্রথম ম্যাচে দুর্বল প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে হারাতেও বেগ পেতে হল বাংলাদেশকে। লড়াই করে জয় পেতে হল শাকিব-আল হাসানদের।
রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার ১২ গ্রুপ ২-তে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অসাধারণ লড়াই দেখেছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। সোমবার হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও দুর্দান্ত লড়াই হল। বাংলাদেশের তুলনায় অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও, যথেষ্ট লড়াই করলেন নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটাররা। তাঁরা ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন। একসময় মনে হচ্ছিল, ডাচরা হয়তো ম্যাচ জিতে যাবে। যদিও সেটা শেষপর্যন্ত সম্ভব হয়নি। ৯ রানে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত গ্রুপের শীর্ষে চলে গেলেন শাকিব আল-হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাসরা। ভারতেরও ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট। কিন্তু ভারতের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে বাংলাদেশ। সেই কারণেই তারা গ্রুপের শীর্ষে চলে গিয়েছে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। একই দিনে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে ভারত। সেদিনই আবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পাকিস্তান। ফলে এই গ্রুপের হিসেব বদলে যাবে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, তাঁর দলের বোলাররা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে অল্প রানে বেঁধে রাখতে পারবেন। কিন্তু ডাচ অধিনায়কের এই পরিকল্পনা শেষপর্যন্ত সফল হয়নি। ইনিংসের শুরুটা ভালই করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। ১৪ রান করেন সৌম্য। শান্ত করেন ২৫ রান। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা লিটন দাস (৯) ও ৪ নম্বরে ব্যাট করতে আসা শাকিব (৭) অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তাঁরা পরপর আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেন আফিফ হোসেন (৩৮)। শেষদিকে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৩ রান করেন নুরুল হাসান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ। ডাচদের হয়ে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন পল ভ্যান মিকেরেন। ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ব্য়াস ডে লিডে।
১৪৪ রান টি-২০ ম্যাচে খুব বেশি নয়। জয় পেতে হলে বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্স দেখাতে হত। তাঁরা সেটা করেন। প্রথম বলেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিক্রমজিৎ সিং(০) কে আউট করে দেন তাসকিন আহমেদ। পরের বলে ফের উইকেট। এবার ফিরে যান ব্যাস ডে লিডে। ০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় নেদারল্যান্ডস। দলের ১৩ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান ম্যাক্স ও'ডোড। এরপর রান আউট হয়ে যান টম কুপার (০)। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ডাচরা রীতিমতো কোণঠাসা। সেই সময় অধিনায়ক এডওয়ার্ডসকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন কলিন অ্যাকারম্যান। দলের ৫৯ রানের মাথায় ফিরে যান এডওয়ার্ডস। অ্যাকারম্যান (৬২) লড়াই করছিলেন, কিন্তু তিনি সঙ্গীর অভাবে দলকে জেতাতে পারলেন না। ১৩৫ রানেই শেষ হয়ে যায় ডাচদের ইনিংস।
আরও পড়ুন-