সংক্ষিপ্ত
পেশাদার ধারাভাষ্যকার হলেও, আবেগ সামাল দেওয়া কঠিন। রবিবার মেলবোর্নে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকে দেখে সেটা বোঝা গেল।
একসময় তিনি ছিলেন ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকত দল। এখন বয়স বেড়েছে। তা সত্ত্বেও নিয়মিত ধারাভাষ্য দেন সুনীল গাভাসকার। রবিবার মেলবোর্নে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন তিনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন জয়সূচক রান করার পরেই আনন্দে নেচে ওঠেন এই কিংবদন্তি। ম্যাচের শেষদিকে তিনি ইরফান পাঠান, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তদের সঙ্গে বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। অশ্বিন রান নিতেই লাফিয়ে ওঠেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন ইরফান। তিনি লিখেছেন, “এমসিজি-তে কী দৃশ্য দেখা গেল! সানিজিও না নেচে থাকতে পারলেন না। বিরাট, তুমিই আসল রাজা। ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরফানের এই পোস্ট ভাইরাল। অনেকেই এই ভিডিও শেয়ার করেছেন এবং নানা মন্তব্য করছেন। গাভাসকরের মতো একই অবস্থা ভারতের অন্যান্য প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতের এই অসাধারণ জয়ে সবাই খুশি।
রবিবার বিরাট যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতীয় দল শুরুতেই কে এল রাহুলের উইকেট হারিয়েছে। ক্রিজে আসার পর রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, অক্ষর প্যাটেলের উইকেট পড়তে দেখেন বিরাট। ৩১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। সেই সময় ভারতীয় শিবিরে হারের আতঙ্ক চেপে বসেছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করেন বিরাট। তিনি ভালভাবেই জানতেন, এই জুটির উপরেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করছে। এই দুই ব্যাটারের মধ্যে কোনও একজন যদি দ্রুত আউট হয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো ভারতের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব হত না। সে কথা মাথায় রেখে ১১ ওভার পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকার দিকে নজর দেন বিরাট-হার্দিক। ১২ ওভার থেকে তাঁরা মারতে শুরু করেন। পাকিস্তানের বোলাররা শুরুতে ভারতের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ভেবেছিলেন ম্যাচ পকেটে পুরে নিয়েছেন। কিন্তু বিরাট-হার্দিককে থামানোর উপায় তাঁদের জানা ছিল না। এই দুই ব্যাটার যখন একের পর বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারতে শুরু করেন, তখন দিশেহারা হয়ে যায় পাকিস্তান দল। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ শেষপর্যন্ত ৪ উইকেটে জিতে নেয় ভারত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয়ে রবিবার থেকেই দেশে দীপাবলির উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটা ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে দীপাবলির উপহার। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন বিরাট, হার্দিককে নিয়ে মাতোয়ারা।
আরও পড়ুন-
তোমার জন্য গুলি খেতেও রাজি ছিলাম, বিরাটকে বার্তা হার্দিকের
আমরা বাজি ফাটাচ্ছি আর তোমরা টিভি ভাঙছো! পাকিস্তানিদের খোঁচা সেহবাগের