টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। এই হারের ফলে চাপে পড়ে গেলেন শাকিব আল-হাসানরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ২০৬ রানের টার্গেট তাড়া করে জেতা বাংলাদেশের কাছে অত্যন্ত কঠিন ছিল। কোনও ব্যাটার অতিমানবীয় ইনিংস না খেললে জেতা সম্ভব ছিল না। লিটন দাস ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার লড়াই করতে পারলেন না। সৌম্য সরকার লিটনকে কিছুটা সাহায্য করেন। বাকিরা কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ফলে যা হওয়ার সেটাই হল। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেটে ২০৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়ে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৪ রানে ম্যাচ জিতে নিল। এই জয়ের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট হল। ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ ২ ম্যাচে ২ পয়েন্টেই থেকে গেল।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনিই কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক অবশ্য রান পাননি। তিনি ৬ বল খেলে মাত্র ২ রান করেই ফিরে যান। এরপর ডি ককের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রিলি রসুউ। এই দুই ব্যাটার ১৬৮ রান যোগ করেন। ডি কক ৩৮ বলে ৬৩ এবং রসুউ ৫৬ বলে ১০৯ রান করেন। এই জুটিই প্রোটিয়াদের বড় স্কোরে পৌঁছে দেয়। আর কোনও ব্যাটারই বড় রান পাননি। ট্রিস্টান স্টাবস ৭ ও এইডেন মার্করাম ১০ রান করেন। ডেভিড মিলার ২ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শাকিব আল-হাসান। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আমহেদ, হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। দলের ২৬ রানের মাথায় প্রথম আউট হন সৌম্য (১৫)। স্কোরবোর্ডে ২ রান যোগ হতে না হতেই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত (৯)। শাকিব করেন মাত্র ১ রান। আফিফও ১ রান করেন। মেহদি হাসান মিরাজ করেন ১১ রান। মোসাদ্দেক হোসেন ০ রানে আউট হয়ে যান। নুরুল হাসান করেন ২ রান। তাসকিন ১০ রান করেন। হাসান কোনও রান করার আগেই রান আউট হয়ে যান। মুস্তাফিজুর রহমান ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন অ্যানরিখ নর্তিয়ে।২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি। কাগিসো রাবাডা ও কেসভ মহারাজ ১ উইকেট করে নেন।
আরও পড়ুন-