আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এর (T20 World Cup 2021) প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে (England) ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত (India)। দারুণ খেললেন কেএল রাহুল, ইশান কিশান এবং ঋষভ পন্থ।
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এ (T20 World Cup 2021) আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অভিযান শুরু করতে এখনও দিন ছয়েক দেরী আছে। তার আগে সোমবার প্রথম গা ঘামানোর ম্যাচ বা প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে (England) ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল বিরাট কোহলির ভারত (India)। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ১৮৮/৫ স্কোর করে। রান তাড়া করে ভারত ১ ওভার বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে। দারুণ খেললেন কেএল রাহুল, ইশান কিশান এবং ঋষভ পন্থ।
সোমবার আইসিসি অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেনার ইশান কিশান (৭০ অবসরপ্রাপ্ত) এবং কেএল রাহুল (৫১)-এর দুর্দান্ত ব্য়াটিং-এর সৌজন্য প্রথম ছয় ওভারের মধ্যেই ৫৯ রান তুলে ভারত শুরুটা দারুণ করেছিল। রাহুল যেন ঠিক যেখানে আইপিএল ২০২১ শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই খেলতে শুরু করেন। ইনিংসের নবম ওভারেই তিনি অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। তবে তারপরই তিনি মার্ক উডের বলে আউট হয়ে যান। ওপেনিং জুটিতে উঠেছিল ৮২ রান।
রাহুলের উইকেট পড়লেও, ভারতের রান-রেট কমেনি। কারণ অন্যদিকে থাকা ইশান কিশান মনের আনন্দে ব্য়াট চালাতে থাকেন। মাত্র ৩৬ বলে তিনি তাঁর অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ১৩তম ওভারে, অবশ্য লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি (১১)। কোহলির পরে নেমেথিলেন ঋষভ পন্থ। পন্থ ও ইশান দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৭০ রানের মাথায় সামান্য চোট পান ইশান কিশান। ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে তুলে নেয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
এরপর ক্রিজে এসেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তখনও ভারতের জয়ের জন্য ৩৯ রান দরকার ছিল। তবে, তিনি মাত্র ৮ রান করেই ক্রিজ ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত ঋষভ পান্ত (২৯*) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (১২*) ছয় বল বাকি থাকতে ভারতকে জয় এনে দেন। শেষ বলে ছয় মারেন পন্থ।
আরও পড়ুন - IPL 2021 - KKR'এর জার্সি ফেটে বেরোচ্ছে যৌবন, নারাইনের নতুন বউ-এর উষ্ণতায় ঘাম ঝরতে বাধ্য
আরও পড়ুন - IPL 2021 - যেমন বক্ষ, তেমন নিতম্ব - জ্যাসিম লোরা-ই কি আইপিএল-এর 'হটেস্ট বউ', দেখুন তো
এর আগে, জনি বেয়ারস্টো (৪৯) এবং লিভিংস্টোন (৩০)-এর দাপটে ইংল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করেছিল। জেসন রয় এবং জস বাটলারের ওপেনিং জুটি প্রথম চার ওভারেই ৩৬ রান তুলে দিয়েছিল। কিন্তু এরপরই আঘাত হেনেছিলেন মহম্মদ শামি। বাটলারকে ১৮ রানে এবং জেসন রয়কে ১৭ রানের মাথায় ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ডেভিড মালান এবং জনি বেয়ারস্টো দ্রুত ৩০ রান জুড়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা হাত খুলে নারা শুরু করতেই ফের ধাক্কা খেয়েছিল ইংল্যান্ড। রাহুল চাহারের বলে মালান আউট হয়ে যান। দশ ওভারে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলতে পেরেছিল।
এরপরই বেয়ারস্টোর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছিল লিভিংস্টোন। দুজনেই রানের গতি বাড়িয়েছিলেন। জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন তাঁরা। কিন্তু ফের ভারতের হয়ে আঘাত হানেন সেই শামি। একটি নিখুঁত ইয়র্কারে লিভিংস্টোনকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। শেষ কয়েক ওভারে, বেয়ারস্টো এবং মইন আলি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করে ইংল্যান্ডকে ১৮০ রানের গন্ডি পার করে দিয়েছিলেন। মইন অপরাজিত ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শামি ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। বুমরা ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। রাহুল চাহারও ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন। তবে এদিন ভারতের বোলারদের মধ্যে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়েছেন তিনি, কোনও উইকেটও পাননি।
তবে বিরাট কোহলির চিন্তা সবথেকে যদি কেউ বাড়িয়ে থাকেন, তিনি হলেন ইশান কিশান। আগেই বিরাট জানিয়েছিলেন ইশান কিশানকে ভারত ব্যাকআপ ওপেনার হিসাবেই দেখছে। ভারতের অন্য দুই ওপেনার হলেন রোহিত শর্মা এবং কেএল রাহুল। রোহিত এই ম্যাচে খেলেননি। কিন্তু রাহুল এবং ইশান কিশান দুজনেই এদিন দারুণ খেলেছেন। কাজেই কাকে বসিয়ে, কাকে খেলানো উটিত - এই নিয়ে বাড়তি মাথা ঘামাতেই হবে রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলিকে।