নেটওয়ার্ক পেতে মগডালে উঠেছিলেন আম্পায়ার অনিল চৌধুরি,তার অভিশাপ পরিণত হল গোটা গ্রামের আশিবার্দে

  • লকডাউনের সময় গ্রামের বাড়িতে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন আইসিসির আম্পায়ার 
  • মোবাইল নেটওয়ার্ক পেতে গাছের ডালে উঠেছিলেন আম্পায়ার অনিল চৌধুরি
  • অবশেষে অনিল চৌধুরির কারণেই গ্রামে বসল মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা
  • যার কারণে বর্তমানে গ্রামে মহানায়ক হয়ে উঠেছেন আইসিসির এই আম্পায়ার
     

Sudip Paul | Published : Jul 15, 2020 12:26 PM IST

সামান্য মোবাইলের নেটওয়ার্ক পেতে গাছের মগডালে উঠেছেন আইসিসির প্যানেলভুক্ত এক আম্পায়ার। দেশজুড়ে লকডাউনের প্রথম পর্বে ভারতীয়য় আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর সেই কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছিল। যার কারণে শিরনামে চলে এসছিলেন উত্তর প্রদেশের ডাংরোলে গ্রামের বাসিন্দা এই আম্পায়ার। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ বাতিল হতেই দুই ছেলেকে নিয়ে ডাংরোলেতে দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন অনিল চোধুরী। সেখানে যাওয়ার পরই দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার কারণে দেশের বাড়িতেই আটকে পড়েছিলেন অনিল চৌধুরী। সোই সময় গ্রামে নেটওয়ার্ক না থাকায় দরকারি ফোন করতে তাকে প্রতিনিয়ত উঠতে হয় গাছের মগডালে। 

আরও পড়ুনঃসেপ্টেম্বর মাসে বাতিল হতে পারে ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ

এবার সেই অনিল চৌধুরীর জন্যই উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম ডাংরোলে পেয়ে গেল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা। ভাবছেন এক জন  আম্পায়ারের জন্য কীভাবে গোটা গ্রাম মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে গেল? আসলে আইসিসি আম্পায়ারকে নেট সংযোগ পেতে গাছে চড়তে হচ্ছে শুনে এক মোবাইল সংস্থা অনিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শুধু তাঁকে মোবাইল কিংবা নেট সংযোগ তারা দিয়ে যায়নি, গোটা ডাংরোল গ্রামে তারা ফোনের টাওয়ার বসিয়ে দিয়ে চলে যায়। যার পর অনিল এখন নিজের গ্রামে মহানায়ক! যিনি বলছেন, “আমার তো সুবিধে হয়েছেই। ভিডিও কল করতে আর দিল্লি ছুটতে হচ্ছে না। কিন্তু আমার গ্রামের হাজার হাজার লোকের যে লাভ হয়েছে, সেটাই আসল।”

আরও পড়ুনঃরাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী সচিন তেন্ডুলকর, টিভি শো-কে ঘিরে চাঞ্চল্য

আরও পড়ুনঃবিকিনিতে অনুষ্কা শর্মার হট ফটো শুট দেখে ক্লিন বোল্ড বিরাট কোহলি

যখন সামান্যা মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য অনিল চৌধুরিতে প্রতিনিয়ত গাছে উঠতে হত, তথকন হয়তো আইসিসির এই প্যানেল ভুক্ত আম্পায়ার ভাবতেও পারেননি তরা এই বিড়ম্বনার সুফল পাবে গোটা গ্রাম। এখন ডাংরোলের ঘরে ঘরে মোবাইল ও ইন্টারনেট। প্রয়োজনীয় কোনও কাজের জন্য সদরে ছুটে ছুটে যেতে হয় না গ্রামবাসীদের। স্বভাবতই অনিল চৌধুরির এমন কর্মকাণ্ডকে ধন্যধন্য করছেন সকলে। যার ফলে অনিল চৌধুরিও এটা ভেবেই খুশি যে, তার অভিশাপ পুরো গ্রামবাসীর কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াল।

Share this article
click me!