সিএবি-ঋদ্ধিমান সাহার সম্পর্কের কফিনে এটাই কী শেষ পেরেক, বড় পদক্ষেপ নিলেন পাপালি

কোচ অরুণ লালের ফোনের পর বরফ গলল না সিএবি ও ঋদ্ধিমান সাহার সম্পর্কের। সূত্রের  খবর, আগেই দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে না জানিয়েই দলে রাখা, সিএবি (CAB) কর্তাদের আচরণে বাংলা ছাড়র সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)।  এবার সেই পথেই আরও এক পা এগোলেন ঋদ্ধি।
 

Sudip Paul | Published : May 26, 2022 5:18 AM IST

আইপিএল চলায় বাংলা দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও কিছুই বলেননি বাংলার উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। তবে তার একটি পদক্ষেপ জল্পনা আরও উস্কে দিল যে ঋদ্ধির বাংলা ছাড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইডেনে গুজরাট টাইটানসের হয়ে আইপিএল প্লে অফের ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন ঋদ্ধি। দল ফাইনালে ওঠায় আহমেদাবাদ উড়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু কলকাতা ছাড়ার আগে সিএবি-র প্রতি তার কতটা অভিমান জমা হয়েছে ও আগামি দিনে যে তিনি সত্যিই আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না তা প্রকারন্তের বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যান। আহমেদাবাদ যাওয়ার আগে বাংলা ক্রিকেট দলের যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে সেখান থেকে লিভ করলেন অর্থাৎ গ্রুপ ছাড়লেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফলে বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ঋদ্ধি যে খেলবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিৎ।

 ঋদ্ধির সঙ্গে সিএবির সংঘাত নতুন নয়। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ খেলতে চাননি ঋদ্ধিমান সাহা। সেই সময় সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপর সম্প্রতি রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলে ঋদ্ধির নাম রাখা নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলে মহম্মদ শামিকে দলে রাখার জন্য ভারতীয় পেসারের সঙ্গে আগে ফোনে কথা বলে নেয় সিএবি কর্তৃপক্ষ। তারপর তাকে টিমে রাখা হয়। যদিও শামি খেলতে পারবে কিনা তা ঠিক করবে বিসিসিআই। কারণ ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি রয়েছে। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করেই তাকে দলে রাখা হয়। যেখানে তিনিও ২ মাস ধরে আইপিএল বায়ো বাবলে রয়েছে।  এরপরই নাকি অভিমানী ঋদ্ধি বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী ঋদ্ধির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা  যায়, ভারতীয় টেস্ট উইকেটকিপার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে বলেন , তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না! বরং তিনি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চান সিএবির থেকে। 

এই পরিস্থিতির সমাধানে আসরে নামেন খোদ বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। বাংলা তথা ভারতীয় দলের তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যানের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন বাংলা কোচ। অরুণ লাল ঋদ্ধিকে নিয়ে বাংলার কর্তার মন্তব্যের এদিন কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন বলেও জানা যায়। পাশাপাশি ঋদ্ধিকেও মাথা ঠান্ডা রেখে পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন বলে সূত্রের খবর। ঋদ্ধিকে সব অপমানের জবাব ব্যাট হাতে মাঠেই দেওয়ার কথাও নাকি বলেছিলেন অরুণ লাল। এরপর মনে করে হয়েছিল ঋদ্ধির অভিমান কিছুটা কমবে ও বাংলা দলের হয়ে তিনি খেলবেন। কিন্তু আইপিএল ম্য়াচ খেলে কলকাতা ছাড়ার আগে ঋদ্ধি যে ভাবে বাংলা ক্রিকেট দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন, তাতে উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্য়ানের বাংলা ছাড়ার কফিনে শেষ পেরেক বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃRCB vs LSG- ইডেনে দুরন্ত আরসিবি, লখনউকে ১৪ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় এলিমিনেটরে পৌছল বিরাট-ডুপ্লেসিরা

আরও পড়ুুনঃগুজরাট টাইটানসের সাফল্যের রহস্য কী, জানালেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া

Read more Articles on
Share this article
click me!