সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ প্লে অফে (IPL 2022) -এম্য়াচে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (RCB vs LSG)। প্রথমে ব্য়াট করে ২০৭ রান করল আরসিবি। সেঞ্চুরি করলেন রজত পাতিদার। রান তাড়া করতে নেমে ১৯৩-এ থামল লখনউয়ের ইনিংস।
প্লে অফে অনবদ্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। ব্য়াটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করে প্লে অফেল দ্বিতীয় এলিমিনেটরে পৌছে গেল আরসিবি। পুরো মরসুম ভালো খেলে এলিমিনেটরে এসে দৌড় থামল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। কেএল রাহুলের দলকে ১৪ রানে হারাল ফাফ ডুপ্লেসির দল। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানে করল আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১২ রান করেন রজত পাতিদার। এছাড়া ৩৭ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ২৫ রান করেন বিরাট কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে লখনউ। কেএল রাহুল ৭৯, দীপক হুডা ৪৫ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
এদিন টস হেরে ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রথম ওভারেই দলের ৪ রানের মাথায় খাতা না খুলেই মহসিন খানের বলে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদার। দুজনেই বেশ কিছু অনবদ্য শট উপহার দেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন বিরাট-পাতিদার জুটি। দলের ৭০ রানের মাথায় ২৫ রান করে আবেশ খানের বলে আউট হন বিরাট কোহলি। এরপর দলের ৮৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সেওয়েল। একদিক থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রজত পাতিদার। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। মাহিপাল লোমর ১৪ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন লোমর। ১১৫ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। এরপর দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে রজত পাতিদার ও দীনেশ কার্তিক। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলেন পাতিদার। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন পাতিদার-ডিকে জুটি। শেষের দিকে বিধ্বংসী রূপ নেন পাতিদার। প্রথম আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে আইপিএল প্লে অফে সেঞ্চুরি করেন রজত পাতিদার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন কার্তিকও। দুজন মিলে দুশো পার নিয়ে যায় স্কোর। শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে আরসিবি। ৯২ রানের পার্টনারশিপ করেন পাতিদার ও কার্তিক জুটি। ১১২ রানে অপরজিত থাকেন পাতিদার ও কার্তিক অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কুইন্টন ডিককের উইকেট হারিয়ে জোর ধাক্কা খায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। দলের ৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন ডিকক। এরপর কেএল রাহুল ও মনন ভোরা শুরুটা ভালো করলেও বড় পার্টনারশিপ করতে পারেননি। ৪১ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে লখ লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ১৯ রান করে হ্য়াজেল উডের বলে আউট হন মনন ভোরা। এরপর কেএল রাহুল ও দীপক হুডা মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। প্রথমে একটু ধরে খেললেও সেট হতেই আক্রমণাত্মক শট খেলতে শুরু করেন। নিজেদের মধ্যেই অর্ধশতরানও পূরণ করেন। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন দুই তারকা। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন কেএল রাহুল। ৯৬ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ১৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গার বলে আউট হন দীপক হুডা। এরপর ক্রিজে আসেন মার্কাস স্টয়নিস। কেএল রাহুলের সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান স্কোরবোর্ড। দুজন মিলে ৩ রানের পার্টনারশিপ করে। এরপর ১৭৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হন মার্কাস স্টয়নিস। ১৮০ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। হ্য়াজেলউডের বলে ৭৯ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই হ্যাজেলউডের বলে আউট হন ক্রুণাল পান্ডিয়া। শেষ ওভারে বাকি ছিল ২৪ রান। অনবদ্য বোলিং করেন হার্শল প্য়াটেল। ৯ রান দেন। ১৪ রানে ম্যাচে জিতে এলিমিনেটর টু-এ পৌছল আরসিবি। ২৭ তারিখ রাজস্থানের মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিরা।