বরাবরই সচিনকে আদর্শ করেই ক্রিকেট খেলেছেন যুবরাজ সিং। সচিনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধের পরিচয় অতীতে বারবার পাওয়া গিয়েছে। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর মুম্বইয়ের মাঠে সচিনকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটের ২২ গজেই সচিনের পায়ে হাত দিয়ে তাঁকে প্রণাম করতেও দেখা গিয়েছে। আর অবসরের দিন জানালেন সচিনের সঙ্গে কথা বলেই অবসরের সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সহজ হয়েছে।
বর্তমানে যুবির বয়স ৩৭। তিনি জানিয়েছেন গত দু-এক বছর ধরেই অবসর নেওয়ার ভাবনা চলছিল তাঁর মাথায়। আশীষ নেহরা, হরভজন সিং, জাহির খানদের দের মতো একসময়ের সতীর্থদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেন এই নিয়ে। এর পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন গুরু সচিনের সঙ্গেও। কারণ ৩৭-৩৮ বছর বয়সে অবসরের প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিল সচিনকেও।
কী বলেছিলেন সচিন? যুবরাজ জানিয়েছেন সচিন তাঁকে সরাসরি কখন অবসর নেওয়া উচিত তাই নিয়ে কিছু বলেননি। জানান, কেউ কখন খেলা ছাড়বেন তা, একেবারে ক্রিকেটারদের নিজেদের বিষয়। বলেন ভেতর থেকে যদি খেলা ছাড়ার ডাক আসে তবেই খেলে ছাড়তে। তার আগে অন্য লোকে কে কী বলল, তাতে কান দিয়ে লাভ নেই।
যুবি জানিয়েছেন, আগের আইপিএল-এর পরও ক্রিকেট ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু, সচিনের কথাতেই আরও একবছর ক্রিকেট চালান। কিন্তু এইার ভেতর থেকে ডাক পেয়েছেন যুবি, আর নয়।