অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ইতিহাস তৈরি করল জিম্বাবোয়ে (Zimbabwe beat Australia)। ৩ উইকেটে জয় পেল রেগিস চাকাবাভার (Regis Chakabva) দল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় অ্যারন ফিঞ্চরা (Aaron Finch)। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় জিম্বাবোয়ে।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেল৩ ম্যাচে একদিনের সিরিজে প্রথমট দুটি জিতে সিরিজ আগেই পকেটে পরে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রতিযোগিতার তৃতীয় ম্যাচে রেগিস চাকাবাভার দলকে হোয়াইট ওয়াশ করার সুযোগ ছিল অ্যার ফিঞ্চের দলের কাছে। কিন্তু উল্টো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অঘটন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস লিখল জিম্বাবোয়ে। ভারতের বিরুদ্ধে ৩-০ সিরিজ হার এড়াতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচ জিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিকে প্রথম ওডিআউ ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল জিম্বাবোয়ে। ৩ উইকেটে ব্যাগি গ্রিণদের হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করল সিকান্দর রাজা, রেগিস চাকাবাভারা। একাই ৫ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের নায়ক জিম্বাবোয়ের রায়ার্ন বার্ল।
ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বায়োর অধিনায়ক। ব্য়াট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। একদিক থেকে ডেভিড ওয়ার্নার দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরদিক থেকে কেউই ওয়ার্নারকে যোগ্য সঙ্গে দিতে পারেনি। ডেভিড ওয়ার্নার অনবদ্য ব্যাটিং করেন। অর্ধশতরানন করলেও মাত্র ৯ রানের জন্য নিজের শতরান মিস করেন তারকা অজি অপেনার। ৯১ রান করে আউট হন। ১৪টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তার ওয়ার্নারের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৩১ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অন্য কোনও অজি ব্যাটসম্যান ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। ওয়ার্নারের ৯১ ও গ্লেন ম্য়াক্সওয়েলের ১৯ রান বাদে দুই অঙ্কে পৌছতে পারেনি ফিঞ্চের দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা। এদিন জিম্বাবোয়ের হয়ে অনবদ্য বোলিং করেন রায়ার্ন বার্ল। একাই ৫ উইকে নেন তিনি। এছাড়া ২টি উইকেট নেন ব্র্যাড ইভান্স ও একটি করে উইকেট নেন রিচার্ড নাগারাভা, ভিক্টক ন্যায়াচু ও সিন উইলিয়ামস।
১৪১ রানের পুঁজি নিয়ে বল হাতে লড়াই দেওয়ার যথেষ্ট চেষ্টা করে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। তাতে কিছুটা সফল হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৭ উইকট হারিয়ে ৩৯ তম ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় জিম্বাবোয়ে। রেগিস চাকাবাভার দলের হয়ে এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল দুই ওপেনার কাইতানো ও মারুমানি। ৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। কিন্তু তারপর একের পর এক উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় জিম্বাবোয়ে। সেখান থেকে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক রেগিস চাকাবাভা। তার সঙ্গে কিছুটা সঙ্গ দেন টনি মুনইয়ঙ্গা ও রায়ার্ন বার্ল। শেষ পর্যন্ত ৩৯ তম ওভার ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় জিম্বাবোয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রেগিস চাকাবাভা। এছাড়া ৩৫ রান করেন মারুয়ামি, কাইতানো ১৯, মুইয়ঙ্গা ১৭ ও রায়ান বার্ল ১১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিকে প্রথম ম্যাচ জিতে জিম্বাবোয়োর ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস ছিল নজর কাড়া।
আরও পড়ুনঃএশিয়া কাপ ২০২২-এর সুপার রাউন্ডের সম্পূর্ণ সূচি, দেখে নিন এক ঝলকে
আরও পড়ুনঃ৩৮ রানে অলআউট হংকং, ১৫৫ রানের রেকর্ড জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরো পাকিস্তান