Durga Puja 2021: সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট আনার মাধ্যমেই শারদ উৎসবের সূচনা বর্ধমানে

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট আনার মাধ্যমেই বর্ধমানে শারদ উৎসবের সূচনা হল বৃহস্পতিবার ৷ ঘট-স্থাপনের পর থেকে নবমী পর্যন্ত পুজো চলবে। তবে পুজো হলেও গতবারের মতো এবার মন্দিরে ভিড় করা যাবে না।

 

Asianet News Bangla | Published : Oct 7, 2021 9:26 AM IST

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা ( Goddess Sarvamangala)  মায়ের ঘট আনার মাধ্যমেই বর্ধমানে শারদ উৎসবের (Durga Puja Festival in Burdwan) সূচনা হল বৃহস্পতিবার ৷ ঘট-স্থাপনের পর থেকে নবমী (Navami) পর্যন্ত পুজো চলবে। তবে পুজো হলেও গতবারের মতো এবার মন্দিরে ভিড় করা যাবে না।

আরও পড়ুন, Durga Puja: শিকেয় কোভিড বিধি, মহালয়ায় মা দুর্গার চক্ষুদান দেখতে ভিড় উপচে পড়ল কুমোরটুলিতে

এদিন সকালে রীতি মেনে বর্ধমান শহরের কৃষ্ণসায়র থেকে রথে চাপিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে মায়ের ঘট আনা হয়।মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে দেবী সর্বমঙ্গলার জন্য ঘট আনার নিয়ম। ঘট আনার জন্য শোভাযাত্রা করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘট-স্থাপনের পর থেকে নবমী পর্যন্ত পুজো চলবে।প্রচলিত কাহিনী অনুসারে বর্ধমানের বাহিরসর্বমঙ্গলা  অঞ্চলে জেলেদের জালে একটি অদ্ভূত দর্শন পাথর উঠে আসে। কিছুটা শিলার মত দেখতে এইরকম পাথর দিয়েই তখনকার দিনে থেঁতো করা হত গুগলি, শামুক।  সেই শিলা যে আদতে মূর্তি, বুঝতে পারেন স্থানীয় এক পুরোহিত। কাহিনী অনুসারে সেই সময় দামোদর নদ লাগোয়া চুন তৈরির কারখানার জন্য শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হলেও মূর্তির কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে সেই রাতে স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্র বর্ধমানের তৎকালীন রাজা শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন। 

আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: 'শুভ মহালয়া', 'মা দুর্গাকে প্রণাম' জানিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা মোদী-মমতার

ঐতিহাসিক মতে বর্ধমানের মহারাজা শ্রী কীর্তিচাঁদ, ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি নির্মাণ করান। কিন্তু এই মন্দিরে থাকা মাতা সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি মন্দিরের থেকেও বেশি প্রাচীন, অনেকের মতে ১০০০ বছর পুরোনো, আবার কারো মতে ২০০০ বছর পুরনো। এই মূর্তিটি হল কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী ‘মহিষমর্দিনী’। দৈর্ঘ্যে বারো ইঞ্চি, প্রস্থে আট ইঞ্চি। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হবার পরে, বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজা উদয় চাঁদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন, তাদের হাতে এই প্রাচীন মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন ও তার পর থেকে এখনো পর্যন্ত সেই ট্রাস্টি বোর্ডই এই মন্দিরের দেখাশোনা করে ।এদিন সকালে কৃষ্ণসায়রে ঘট উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস।

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

Share this article
click me!