উত্তর কলকাতায় এবার দক্ষিণের পূর্ণ আমেজ। মনে হবে একটুকরো দক্ষিণ যেন উঠে এসেছে হরিতকী বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো মণ্ডপে। কারণ এই উদ্যোক্তাদের থিম কথাকথি। প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য তুলে ধরাই এই উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য
উত্তর কলকাতায় এবার দক্ষিণের পূর্ণ আমেজ। মনে হবে একটুকরো দক্ষিণ যেন উঠে এসেছে হরিতকী বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো মণ্ডপে। কারণ এই উদ্যোক্তাদের থিম কথাকথি। প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য তুলে ধরাই এই উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য। মণ্ডবে থাকছে কথাকলি ডান্সফর্মের আদলে একাধিক মূর্তি। ফাইবারের তৈরি মূর্তিগুলি দর্শকদের নজর কাড়বে বলেও আশা করছেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন সুশান্ত মাইতি। আর প্রতিমা তৈরি করছেন সুজিত পাল। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। এখন প্রবল ব্যস্ত দুই শিল্পি।
উদ্যোক্তার কথায় এই মণ্ডপের মূল আকর্ষণ কথাকলি রূপী দুর্গা। মণ্ডপ জুড়ে এক অন্য আমজ তৈরি হবে। কথাকলি ডান্সেই মহিষাশূর বধের কথা রয়েছে। মণ্ডপ সজ্জায় নাচের এই আঙ্গিকও ফুটিয়ে তোলা হবে। তবে এবার তাঁদের মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ যে গয়না তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না। কথাকলি নাচে যে ধরনের গয়না পরা হয় সেগুলিই ব্যবহার করা হবে মণ্ডপ সজ্জায়।
৮৬ বছরের প্রাচীন পুজো। প্রাচীন ঐতিহ্যের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া- এই দুইয়ের মিশেল বজায় রাখাই পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তর কলকাতার একমাত্র পুজো কমিটি এঁরা যাদের নিজেদের স্থায়ী পুজো মণ্ডপ রয়েছে। এখানে কিন্তু বছরভরই পুজিত হন দেবী দুর্গা। কারণ দেবী বরণ এখানে এক দিনের জন্য নয়, এখানে নিত্যুদিন পুজো পান দেবী। তাই দর্শকদের কাছে সেটাও একটি বাড়তি পাওনা।
পুজো উদ্যোক্তাদের কথায় চলতি বছর ইনেস্কো সম্মান পেয়েছে বাংলা ও কলকাতার দুর্গাপুজো। এই সম্মান কিন্তু শুধু পুজো উদ্যোক্তা বা সরকারের নয়। এই সম্মান সকল বাঙালির। তাই বাংলার মানুষের আরও বেশি করে উৎসবে সামিল হওয়া জরুরি। এক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন শুধু বড় বাজেটের পুজো নয়, ছোট বাজেটের পুজোগুলো দর্শকদের টানছে। কারণ স্বল্প বাজেটের মধ্যেই তাঁরা নতুন বা অন্য কিছু করার চেষ্টা করছে। সেগুলিও দর্শকদের একটি অন্য জগতে নিয়ে যেতে পারে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তাঁদের পুজো মধ্য বাজেটের। কিন্তু তাঁরা চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি রয়েছে - হরিতকী বাগান সার্বজনীনের পুজো মণ্ডপে এলে দর্শকদের ভালো লাগবেই।