পুজো উদ্যোক্তাদের ভিড়েও এমন অনেক শিল্পী মিশে থাকেন, যাঁরা সমাজকে প্রাসঙ্গিক চেতনা থেকে দূর হতে দেন না। ৫৩ তম বর্ষে পৌঁছেও এই চেতনার অন্যথা হয়নি ইয়ং বয়েজ ক্লাবের দুর্গাপুজোয়।
দুর্গাপুজো মানে আনন্দের শারদীয়া উৎসব তো বটেই, তার পাশাপাশি থাকে সমাজের চেতনা জাগিয়ে তোলার দায়িত্ববোধও। সব থিম পুজোর উদ্যোক্তারা শিল্পের দিকে মন দেন ঠিকই, কিন্তু, তাঁদের ভিড়েও এমন অনেকে মিশে থাকেন, যাঁরা সমাজকে প্রাসঙ্গিক চেতনা থেকে দূর হতে দেন না। হাজার হোক, উৎসবের শুরু আর উৎসবের শেষে পড়ে থাকে তো সেই দৈনন্দিন জীবনযাত্রাই।
ইয়ং বয়েজ ক্লাবের দুর্গাপুজো এবছর পদার্পণ করতে চলেছে ৫৩ তম বর্ষে। ১৯৭০ সাল থেকে একটানা পুজো চলতে চলতে ২০২২-এ পৌঁছে এই সংগঠনের দেবী আরাধনার থিম হচ্ছে ‘ময়ূরপঙ্খী নৌকা’। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গড়ে উঠছে থিমের কারুকাজ। ক্লাবের সদস্যরা বরাবরের মতো এই বছরও প্রাসঙ্গিক এবং সামাজিক সমস্যাগুলিকে থিমের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। এই পুজো মণ্ডপ মধ্য কলকাতার চিৎপুর ক্রসিং লাগোয়া ৭ নম্বর তারাচাঁদ দত্ত স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত। এর খুব কাছাকাছি রয়েছে মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন।
সেন্ট্রাল অ্যাভেন্যু এবং রবীন্দ্র সরণির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ইয়ং বয়েজ ক্লাবের দুর্গাপুজো মধ্য কলকাতার এক অন্যতম চমকপ্রদ আকর্ষণ। এই দুর্গাপুজোর প্রধান সংগঠক শ্রী রাকেশ সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “এই বছর ইয়ং বয়েজ ক্লাব তাদের দুর্গা পুজোর মণ্ডপসজ্জার উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করছে হোগলা পাতা। এর পাশাপাশি পাটকাঠি এবং শুকনো ফলের সমন্বয়ে ময়ূরপঙ্খী নৌকার রূপ পেয়েছে দেবীর গৃহ।
পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দুই বছরের লম্বা বিরতির পর, সিটি অফ জয় কলকাতা আবারও শারদোৎসবে সামিল হতে চলেছে ২০২২ সালে। এবছর অবশ্য কল্লোলিনীতে পুজোর উন্মাদনা আরও একটু বেশি, কারণ ইউনেস্কোর সম্মান জিতে নিয়ে গোটা বাংলাকে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকেই মাতিয়ে তুলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইয়ং বয়েজ ক্লাবের যুব সভাপতি শ্রী বিক্রান্ত সিং-এর কথায়, “দর্শনার্থীরা যখন মণ্ডপে প্রবেশ করবেন, তখন তাঁরা বাংলার কিছু অনন্য হস্তশিল্পের সাক্ষী হবেন। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে নবদূর্গা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রতিবার চেষ্টা করি নামকরা শিল্পীদের পাশাপাশি যেন স্থানীয় শিল্পীরাও সমভাবে গুরুত্ব পান।” তাই, এবছর প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার এই দুর্গাপুজো মণ্ডপ গড়ে তুলছেন মেদিনীপুরের শিল্পী দেব শঙ্কর মহেশ।
আরও পড়ুন-
“এ রাজ্যের অভাব যাবে না”, গ্রাম বাংলার ভাদু গান ফেসবুকে পোস্ট করে শাসকদলকে খোঁচা বিজেপির
ডুরান্ড কাপ জেতালেন সুনীল ছেত্রী, অথচ তাঁকেই ছবি তোলার সময় ঠেলে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল লা গণেশন!
মহালয়াতেই নবমী নিশি! ‘মা’ নয়, কুমারী দুর্গা সখী সহযোগে বছরে মাত্র একদিন আসেন বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রামে