ছেলেবেলায় পুজোর সময় খুব খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন, আড্ডায় জানালেন শাশ্বত

পুজোর সময় সাধারণত কলকাতায় থাকেন না শাশ্বত। ওই সময় বাইরে বের হতে পারেন না। তাই বাড়িতে বন্দী হয়ে থাকতে হয়। তবে তাঁর আশা এবার কিছুটা হলেও রাস্তায় ভিড় কমবে। করোনার পরিস্থিতির মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষের একসঙ্গে বেরিয়ে ঠাকুর না দেখাই ভালো বলেই মনে করেন তিনি।

Asianet News Bangla | Published : Oct 10, 2021 12:55 PM IST / Updated: Oct 10 2021, 06:31 PM IST

শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো (Durga Puja)। আজ মহাপঞ্চমী। অবশ্য দ্বিতীয়া থেকেই প্যান্ডেল হপিং (Pandal Hopping) করতে বেরিয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। আসলে বাঙালির দুর্গাপুজো নিয়ে আনন্দের কোনও শেষ নেই। শহর থেকে গ্রাম প্রায় সব জায়গা সেজে উঠেছে আলোতে। চারিপাশে এখন আলোর রোশনাই। সাজগোজ, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, রাত জেগে ঠাকুর দেখা প্রায় সবই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল থেকেই পুরোদমে পুজো শুরু হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টলি পাড়ার অভিনেতারাও (Actor) পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। তাঁদের অনেককেই প্যান্ডেল হপিং করতে দেখা যায়। আর তাঁরা কীভাবে পুজো কাটাবেন, কী ধরনের পোশাক পরবেন, তাঁদের স্টাইল স্টেটমেন্ট (Style Statement) কী থাকলে এই সবই জানার জন্য মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা। তবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) পুজো কাটে একটু অন্যরকম ভাবে। কীভাবে কাটে তাঁর পুজো? ছেলেবেলাতেই বা কেমনভাবে দিনগুলো কাটত? এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে সেকথা শেয়ার করলেন অভিনেতা।

পুজোর সময় সাধারণত কলকাতায় থাকেন না শাশ্বত। ওই সময় বাইরে বের হতে পারেন না। তাই বাড়িতে বন্দী হয়ে থাকতে হয়। তবে তাঁর আশা এবার কিছুটা হলেও রাস্তায় ভিড় কমবে। করোনার পরিস্থিতির মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষের একসঙ্গে বেরিয়ে ঠাকুর না দেখাই ভালো বলেই মনে করেন তিনি। তাই এবারের পুজোতেও বাড়িতে বন্দী হয়ে বসে না থেকে কাছে ধারে কোথাও গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন- বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপুজো, কীভাবে কাটাবেন বউ তৃণার সঙ্গে, আড্ডায় জানালেন নীল ভট্টাচার্য

যদিও তাঁর ছেলেবেলার পুজোর কাটত একেবারেই অন্যভাবে। সেই সময় পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকতেন অভিনেতা। চাঁদার বিল ছাপানো থেকে শুরু করে প্রতিমা নিরঞ্জন না হওয়া পর্যন্ত পুজোর সঙ্গেই যুক্ত থাকতেন। তবে একটা ঘটনাই তাঁর এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্তকে বদলাতে বাধ্য করেছিল। একবার অষ্টমীর দিন তাঁদের পুজোর প্যান্ডেল পুড়ে গিয়েছিল। সৌভাগ্যবশত সেই সময় তাঁরা ঠেলা নিয়ে ভোগ বিতরণ করতে বেরিয়ে ছিলেন পাড়ায়। আর পিছন ফিরে দেখেন মণ্ডপ দাউদাউ করে জ্বলছে। সেই অভিজ্ঞতার পর থেকেই আর কখনও পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকেননি তিনি। তারপর থেকেই পুজোর সময় বেড়াতে চলে যান।

আরও পড়ুন- ষষ্ঠীর ক্যাজুয়াল লুক থেকে অষ্টমীর সাবেকিয়ানী, পুজোর ট্রেন্ডি ফ্যাশনে বাজিমাত অর্কজার

ছেলেবেলার পুজোটা সব সময় তাঁদের কাছে খুব মজার বিষয় ছিল। আসলে পুজো আসছে এটাই সবথেকে ভালো। পুজো এসে গেলেই শেষ হয়ে গেল। আগে পুজোর সময় প্রায় প্রতিদিনই বাড়ির সঙ্গে একটা ঝামেলা করতেন। আসলে অভিনেতা রাতটা প্যান্ডেলে কাটাতে চাইতেন। কিন্তু, অভিভাবকরা কিছুতেই ছাড়তেন না। তা নিয়ে ঝামেলা চলত। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল থেকে শুরু করে কান্নাকাটি সবই হত। তবে সবশেষে জিত হত শাশ্বতরই। এই করেই পুজোর পাঁচটা দিন বাইরেই কাটাতেন তিনি। আক্ষেপের সুরে অভিনেতা বলেন, "আসলে পাড়ার সব ছেলেরা মিলে পুজোর সময় ঠাকুর দেখার একটা আলাদা মজা ছিল। সে সময় একটা পাড়া কালচার ছিল। এখন আর তা নেই। এখন রকই আর নেই।"

আরও পড়ুন- রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ-অভিমান থেকেই বারোয়ারি দুর্গাপুজোর জন্ম কলকাতায়

এখন বিভিন্ন রীতি রেওয়াজ থেকে বর্তমান প্রজন্ম অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে কি? এর উত্তরে অভিনেতা বলেন, "গোটা বিষয়টাই এখন মোবাইলে হয়ে গিয়েছে। এর জন্য পাড়া কালচারটা খুবই প্রয়োজনীয়। এখন যাঁরা হাউজিংয়ে থাকেন তাঁদের সেখানে নিশ্চয়ই এই রীতিগুলি মানা হয়। এটা নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে দোষ দিতে কোনও লাভ নেই। বাবা-মা যদি সেগুলো না শেখায় তাহলে তরুণ প্রজন্ম এই বিষয়গুলো কোথা থেকে শিখবে। ফলে যারা এই সব নিয়ম মানে না দোষটা তাদের নয়, তারা কীভাবে বড় হয়েছে তার উপর এটা নির্ভর করছে।"

Share this article
click me!