এক্সিট পোলের ফলাফল নিয়ে বিজেপি শিবির যতই উল্লতি হোক না কেন, নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি সেরে রাখবেন বিরোধীরা। ভোট গণনা পর্যন্ত চাপ বজায় রাখা হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের উপরেও। সোমবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে তাঁর এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর বৈঠকে মোটের উপরে এটাই সিদ্ধান্ত হল। এছাড়াও ইভিএম-এ যাতে কোনওরকম কারচুপি ন করা যায় তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে একজোট হয়ে দাবি জানানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। সেই মতো মঙ্গলবার বিরোধীরা একজোট হয়ে ইভিএম-এর নিরাপত্তার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলে ঠিক হয়েছে।
এক্সিট পোলের ফল বেরনোর পরেই মমতা জানিয়েছিলেন, তিনি এই ফলাফল মানেন না। এ দিনের বৈঠকেও এক্সিট পোলের ফলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সব বিরোধীরা মিলে একজোট হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আগাম দরবার করে রাখা হবে। সেখানে বলা হবে যে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে বিজেপি যদি একক বৃহত্তম দল হয়, সেক্ষেত্রে যেন সরকার গঠনের জন্য আগে বিরোধীদের ডাকা হয়।
বিরোধী দলগুলির এখন মূল আশঙ্কা ইভিএম নিয়ে। রবিবারই মমতা বলেছিলেন, এক্সিট পোলের ফলাফলকে হাতিয়ার করে কয়েক হাজার ইভিএম বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করতে পারে বিজেপি। মমতার এই আশঙ্কার সঙ্গে সহমত চন্দ্রবাবু নাইডু-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও। সেই কারণেই মঙ্গলবার একজোট হয়ে ইভিএম-এর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি নিয়ে একজোট হয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবেন তৃণমূল-সহ বিরোধী দলের নেতারা। এর পাশাপাশি তেইশ তারিখ ফল বেরনোর পর প্রয়োজনে মমতাকে দিল্লি যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়ে গিয়েছেন টিডিপি প্রধান। এখন দেখার, তেইশ তারিখের পর বিরোধীদের এই আগাম উদ্যোগ সত্যিই কাজে আসে কি না।