বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাই়ডু দেখা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তার পরেই তাঁর পরেই লখনৌতে গিয়ে মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও দেখা করার কথা তাঁর। সবমিলিয়ে শেষ দফার ভোটের আগেই বিরোধী শিবিরে ততপরতা তুঙ্গে।
ভোটের আগে ঠিক যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের একজোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, অনেকটা যেন সেই চেষ্টাই করছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল এবং সিপিএম সাধার সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে বিরোধী জোটগঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এমন কী, নিজের রাজ্যের মূল প্রতিপক্ষ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস-ও এই জোটে যোগদান করলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু।
আগামী তেইশে মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরে যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে একটি যৌথ সভা করা যায়, সেই প্রস্তুতিও সেরে রাখছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক যেভাবে ব্রিগেডে মহাজোটের সভা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ভোট প্রচারে মমতার আগে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে এসেও সভা করে গিয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
চন্দ্রবাবু নাইডুর এই উদ্যোগে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়াই দিয়েছে সব বিরোধী দলগুলি। কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে আগামী তেইশে মে-র উপরে। সত্যিই যদি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির দাবি অনুযায়ী বিজেপি ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তা হলে মমতা, চন্দ্রবাবুদের মতো নেতাদের এই দৌড়ঝাঁপ বৃথাই যাবে। কিন্তু যদি বিরোধীদের দাবি মিলে যায়, তাহলে ভোট পরবর্তী জোট রাজনীতি এক নতুন মাত্রা পাবে, বিরোধী ঐক্য তখন কতটা বজায় থাকবে, সেটাই হবে দেখার।