অমিত-মুকুলদের লক্ষ্য এবার মমতার সরকার, কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে তৃণমূল নেত্রীর জন্য

  • ২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন
  • তার আগেই মমতার সরকার ফেলে দিতে মরিয়া হবে বিজেপি
  • বিধায়কদের ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মমতার

লোকসভা ভোটে বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ধাক্কা সামলানোর জন্য কি দু' বছর সময় পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি তার আগেই রাজ্য সরকার ফেলে দিয়ে বিধানসভা ভোট করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে বিজেপি?

দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা যে যথেষ্টই রয়েছে, বিজেপি নেতাদের কথাতেই তা স্পষ্ট। এতদিন হয়তো বিজেপি নেতাদের হুমকি, হুঁশিয়ারিকে মমতা বা তাঁর দল খুব একটা পাত্তা দিতেন না, কিন্তু বৃহস্পতিবারের ফলের পরে সেই বিলাসিতা আর রইল না মমতার। বিজেপি নেতা মুকুল রায় তো বলেই দিয়েছেন, "বিজেপি এবং বাকি দুই বিরোধী দলের মিলিত ভোট অনুযায়ী, রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের জনসমর্থন হারিয়েছে তৃণমূল। এর পরে আর তৃণমূলের বাংলার ক্ষমতায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।" শুধু লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন জেতা নয়, রাজ্যের আটটি বিধানসভার উপনির্বাচনে চারটি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি।

Latest Videos

মমতার কাছে আরও আশঙ্কার কারণ হল তৃণমূলের দল ভাঙানো নিয়ে বিজেপি নেতাদের হুমকি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো ভোট প্রচারে এসেই বলে গিয়েছিলেন যে চল্লিশজন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপি-র এই বিপুল সাফল্যের পরে যে দলের বিধায়কদের বিজেপি-র দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা আরও বাড়বে, তা মমতার থেকে ভাল কেউ জানেন না। মমতার সমস্যা হচ্ছে, কাদের মন উড়ু উড়ু, সেই সঠিক খবরটা তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো উপযুক্ত লোক এখন তৃণমূলে আছে কি না। কারণ এই কাজটা তৃণমূলে থাকলে যিনি সবথেকে ভাল করতে পারতেন, নেতা-কর্মীদের হাঁড়ির খবর রাখা সেই মুকুল রায়ই এখন মমতাকে  ক্ষমতাচ্যুত করার ছক কষছেন বিরোধী শিবিরে বসে। 

মমতার উদ্বেগ বা়ড়িয়ে মুকুল তো বলেই দিয়েছেন, লোকসভা ভোটে তৃণমূলের অনেক নেতা, কর্মীই বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন। এবার তাঁদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানিয়ে দিয়েছেন, এবার তাঁদের পাখির চোখ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

তবে মুখে বললেও কাজটা এখনও যথেষ্ট কঠিন বিজেপি-র কাছে। কারণ এখনও রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল একাই ২১১টি আসনে জিতেছিল। তার পরে অন্য দল ভাঙিয়ে বেশ কিছু বিধায়ককে নিজেদের দিকে টেনেছে তারা। কিন্তু রাজনীতিতে কিছুই অসম্ভব নয়। জয়ের পরেও নিজের ভাষণে বার বার বাংলার নাম নিয়ে অমিত শাহও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার তাঁদের আসল লক্ষ্য কী! কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তর থেকে বিজেপি-র এই প্রবল চাপ মমতা কীভাবে সামলান, সেটাই ঠিক করে দেবে তাঁর সরকার এবং দলের ভবিষ্যৎ।

মমতার ভয়ের কারণ অবশ্য আরও অনেক রয়েছে। অসমে এনআরসি নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হয়েছিল তৃণমূল। ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে সেই অসমেও দারুণ ফল করেছে বিজেপি। আর ক্ষমতায় ফিরলে যে বাংলাতেও এনআরসি চালু করা হবে, বার বার সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহরা। শোনা যাচ্ছে, এবার নতুন সরকারে নরেন্দ্র মোদীর হাত আরও শক্ত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন অমিত শাহ। সেক্ষেত্রে বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি আরও আগ্রাসী হতে পারে বিজেপি-র ভূমিকা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Chinmoy Krishna-কে আমি মুক্ত করবোই’ নির্ভীক Bangladeshi আইনজীবী Rabindra Ghosh-এর চরম প্রতিশ্রুতি
Rashifal : আজ আপনার ভাগ্য কি বলছে? দেখুন শুক্রবারের রাশিফল | Astro | Friday | Horoscope
আরে ওরা কি করবে, সেদিন আমি ওদের সামনে আরতি করে বুঝিয়ে দিয়েছি : শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়! পার্থ-অর্পিতাদের বিরুদ্ধে শুরু হলো চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া!
মাত্র এক মাসের সংসার! যৌতুক না দিতে পারায় এইরকম পরিণতি, শুনলে আঁতকে উঠবেন | South 24 Parganas News