২৪ ঘণ্টা আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে গিয়েছেন কোটশিলায়। ২৪ ঘণ্টা পরে বাঁকুড়ার প্রচার সভা থেকে জবাব ফেরালেন নরেন্দ্র মোদী। বললেন, আমাকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মানতে না পেরে আসলে আমাকে নয়, দেশের সংবিধানকে অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এদিন বাঁকুড়ার জনসভায় প্রথম থেকেই ঝাঁঝালো মেজাজে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, "দিদি আমাকে প্রধানমন্ত্রী মানতে রাজি নন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে তাঁর গর্বের শেষ নেই।"
এরপরেই তিনি বলেন, আসলে নির্বাচনে হারার ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানেরও অমর্যাদা করে ফেলছেন। এলো ফণী প্রসঙ্গও। মোদীর বক্তব্য, " উনি ফোন ধরলেন না, এত বড় দুর্যোগের সময়ও ওনার কর্মচারীদের আমার সঙ্গে কথা বলতে দিলেন না।"
প্রসঙ্গত এ মাসেরই ৬ তারিখের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " নরেন্দ্র মোদী একজন এক্সপায়ারড প্রধানমন্ত্রী , আমি তাঁকে মানি না। নির্বাচন শেষ হলে আমি নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করব।" এরপরেই তিনি বলেন, সম্ভবত দিদি পশ্চিমবঙ্গের ভাল চান না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই গণতন্ত্রের থাপ্পড়ের কথা বলেছিলেন। এদিনে বক্তৃতায় এল সেই প্রসঙ্গও। মোদী বললেন, আমি তাঁকে দিদি বলে ডাকি, দিদির থাপ্পড় আমার কাছে অভিশাপ। এসব অপমান হজম করার ক্ষমত আমার মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে।
মোদীর বক্তব্য প্রায় সব মহলের লোকজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর বিরক্ত। বুদ্ধিজীবী, ধনী, নির্ধন সকলকেই চটিয়ে দিয়েছে রাজ্যের তৃণমূলের ক্ষমতাধরেরা। তার আরও দাবি মমতা ও তার দল খনি অঞ্চলে টাকা লুট করছে অথচ শ্রমিক প্রাপ্য মজুরি পাচ্ছে না।
বক্তব্যের শেষেও রইল থাপ্পড়ের জবাব দেওয়ার চেষ্টা। বললেন, সত্যি কথা শুনলে মমতা রেগে যান। কিন্তু তিনি নিশ্চিন্ত কারণ ১৩০ কোটি লোক তাঁকে ভালবাসে।
মমতার দলকে মোদীর শ্লেষ, এই দলটি ট্রিপল 'টি'- 'তৃণমূল, তোলা, আর ট্যাক্স'-এর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিনের বক্তব্যে ডিএ নিয়েও খোঁচা ছিল। মোদী এই জনসভা থেকেই আশ্বাস দিলেন ২০২২ সালের মধ্যে সবাই পাকা বাড়ি ও সবাই গ্যাস কানেকশান পাবে।
বলা তো হল, চিঁড়ে কি ভিজল? সময় বলবে।