ভোটের দিন ও তার আগে, কী করবেন, কী করবেন না - শেষ দিনে দিদির পরামর্শ

  • লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর শেষ দফার ভোটগ্রহণ বাকি
  • মমতার দাবি, শেষ দফায় যেন তেন প্রকারে ভোট পাওয়ার চেষ্টায় বিজেপি
  • তা রুখতে কী করবেন, কী করবেন না - দিদি দিলেন পরামর্শ

 

amartya lahiri | Published : May 16, 2019 12:25 PM IST / Updated: May 16 2019, 05:59 PM IST

লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর শেষ দফার ভোটগ্রহণ বাকি। তার আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশন ৩২৪ ধারা লাগু করেছে। প্রচারের দিন একদিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায়ের দাবি, শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গে যেন তেন প্রকারে ভোট পাওয়ার চেষ্টায় নেমেছে বিজেপি। কারণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ আসন পেয়ে গেলে তারাই কেন্দ্রে পরবর্তী সরকার গড়ার নির্ধারক শক্তি হয়ে উঠবে। আর তা বুঝেই ভয় পাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর দল।  

এদিন ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে এক জনসভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে মঞ্চ থেকেই বিজেপির এই মরিয়া চেষ্টা কী ভাবে ব্যর্থ করতে হবে, সেই বিষয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেত্রী।

এদিন মমতা দাবি করেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে ইতিমধ্যেই বিজেপি বেশ কিছু আরএসএস-এর গুন্ডা ঢোকাতে শুরু করেছে। তারা এখানে এসে নিজেরাই হিন্দু মুসলমান সেজে নিজেদের মধ্যে ছদ্ম-ঝগড়া করে বিভিন্ন এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করবে। দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। এখানে জন-সমর্থন মিলবে না বুঝে দাঙ্গাকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি বলে সভায় মন্তব্য করেন তিনি।

মমতা বন্দোপাধ্যায় দলের কর্মী সমর্থকদের সাবধান করেন দাঙ্গায় কাজ না হলে প্রযুক্তির কারচুপিকেও কাজে লাগাতে পারে বিজেপি। ইভিএম যন্ত্র বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। তাই স্ট্রংরুমগুলিতে ইভিএম যন্ত্র পাহারা দেওয়ার জন্য সমকদের আবেদন করেছেন তৃণমূনেত্রী। তিনি জানান, দলের কর্মীরা স্ট্রংরুমগুলির কাছাকাছি থাকে। পুলিশ সরিয়ে দিলেও, থাকতে হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।  

এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী বিশেষ ভরসা রেখেছেন মাতৃশক্তিতে। মা-বোনদের রান্না করার সঙ্গে এই কদিন রাতে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সেইঙ্গে পাড়ার ছেলেরা রাত-পাহারায় থাকার কথা বলেন। তিনি বলেন বিজেপি যা কিছু করে মধ্যরাতেই করে। তিনি আরও বলেন কেউ ইভিএম পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে বুঝতে পারলে সেই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে তুলে তাঁকে পাঠাতে হবে। সেই সঙ্গে সেই ব্যক্তিকেও আট হবে।

এই কটা দিন বিজেপির কাছ থেকে জলও না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেই জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে বিজেপি-র পক্ষ থেকে টাকা দেওযার চেষ্টা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আম-কাঁঠাল' খেয়ে আঁটিগুলো ফেলে দিতে। অর্থাত, পারলে দর কষাকষি করে বিজেপির কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করে নিয়ে তারপর ভোটের জিন তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও শেষ দিনের প্রচারে নিশানা করেন মমতা। তাঁর দাবি, তিনিই প্রথম বলেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উর্দি পরে আরএসএস-এর লোকেরা  আসছে। আর এখ তা স্পষ্ট প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কাজেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশ্বাস করা যাবে না। তারা এসে ভোটের লাইনে পর্যন্ত বিজেপি-কে ভোট দিতে বলছে। ভয় দেখাচ্ছে, মারধর করছে।  

এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। একেবারে কোনও সেনাপতি যেভাবে তার বাহিনীকে সাজান, সেভাবেই মতা বলে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুখতে এগিয়ে দিতে হবে মেয়েদের, মা-বোনেদের। আর পিছন থেকে তাঁদের রক্ষা করবেন ছেলেরা।

Share this article
click me!