আর মাত্র বাকি একটা দফা। তার পরেই খোলসা হয়ে যাবে কোন দল ক্ষমতায় এল, কোন দলের ভাগ্যে কটা আসন। যদিও বিজেপি এবার অবকি বার ৩০০ পার স্লোগান তুলে আশার আলো দেখছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলিও জমি ছাড়ার পাত্র নয়। চলছে জোর কদমে প্রচার। যদিও একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে প্রচার। অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কমিশন। এসবের মধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের ফেসবুক পেজে একটি ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করেছে। রাজনৈতিক মহলে সেই ছবি নিয়ে এবার বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিজেপির এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তফ্রন্টের নেতানেত্রীরা সার্কাস করছেন। ক্যাপশনে লেখা, সপ্তম দফায় ভোট দেওয়ার আগে আপনারা সবাই যুক্তফ্রন্টের সার্কাস দেখে নিলেন। শেষ দফার ভোটের আগে ব্য়ঙ্গচিত্রের মাধ্য়মে যুক্তফ্রন্টকে আক্রমণ করাকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগেও যুক্তফ্রন্টকে খিচুড়ি বলে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহামিলাওয়াটি সরকার বা যুক্তফ্রন্টকে কটাক্ষ করে একটি সভায় মোদী বলেছিলেন, "কেন্দ্রয় খিচুড়ি সরকার চায় অনেকে। তাদের থেকে সাবধান থাকা খুব দরকার। এই মহামিলাওয়াটের জন্য দেশের ক্ষতি হয়। যারা প্রথম এবার ভোট দিচ্ছে তাদের আরও জানা উচিত।"
তিনি আরও বলেছিলেন, " এই সরকার কেন্দ্রে এলে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা শুরু হবে। ২০ বছর আগেও দেশ এই অরাজকতার সাক্ষী হয়েছিল। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস সারা দুনিয়ার সামনে দেশকে লজ্জিত করেছে।"
কিন্তু সপ্তম দফার ঠিক আগেই এই ব্যঙ্গচিত্র কেন পোস্ট করল গেরুয়া বাহিনী, তা নিয়ে জল্পনা হচ্ছে। আর কেনই বা সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মনে করা হচ্ছে সম্প্রতি বাংলায় অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনা এর পিছনে একটা বড় কারণ। ঘটনায় কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর যদিও বিজেপির দিকেই রয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এই ঘটনার জন্য বিজেপি-কে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গেরুয়া বাহিনী যুক্তফ্রন্টকে সাকার্সের সঙ্গে তুলনা করলেও, বিরোধী দলগুলির দাবি, বিজেপি শিবিরেও সার্কাস কম কিছু হয়নি।
এবারের লোকসভা নির্বাচন ঘিরে একের পরে এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস, কখনও আম আদমি পার্টি, আবার কখনও তৃণমূল, প্রতিটি দলেই এমন কিছু ঘটেছে যা সোশ্য়াল মিডিয়ায় বহু চর্চিত হয়েছে। অধিকাংশ সময়েই মিম-এ পরিণত হয়েছে।
সর্বোপরি বলা যেতে পারে, এবারে নির্বাচনে শুধু রাজনীতি ছিল না। বিনোদন এতটাই ছিল যে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে কেবল খেউড় চলেছে।