অর্জুন ও ভেট্টি রামা - এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই দুই প্রাক্তন মাওবাদী ছিলেন গনতন্ত্রকে ধ্বংসের প্রচেষ্টায়। অথচ বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বস্তার এলাকায় সেই দুজনকেই দেখা গেল অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকতে। দেশের সমস্ত মাওবাদিকে হিংসার রাজনীতি থেকে সরে এসে গণতন্ত্রে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা দুজন ছিলেন গনতন্ত্রকে ধ্বংসের প্রচেষ্টায়। অথচ বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বস্তার এলাকায় সেই দুজনকেই দেখা গেল অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকতে।
একজন হলেন অর্জুন, গত প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি ছত্তিশগড়ে মাওবাদি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কোন্টা অঞ্চল কমিটির কমান্ডার ছিলেন তিনি। তাঁর মাথার দাম উঠেছিল ৮ লক্ষ টাকা। আর অপরজন, ভেট্টি রামা, মাওবাদিদের সঙ্গে ছিলেন ১৫ বছর। তিনি ছিলেন মাওবাদি লোকাল অর্গানাইজিং স্কোয়াডের প্রধান।
দুজনেই চলতি বছরেই হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন। গত জানুয়ারি মাসে অস্ত্র ত্য়াগ করেছিলেন ভেট্টি রামা, আর মার্চ মাসে অর্জুন। তবে মাওবাদিদের হয়ে অস্ত্র ছেড়ে দিলেও সরকারি বন্দুক উঠেছে এখন তাঁদের হাতে। মাও অধ্য়ুষিত বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর দায়িত্বে যে প্রায় ৮০ হাজার রাজ্যপুলিশ ও প্যারামিলিটারি নিয়োগ করা হয়েছে, সেই দলেই সামিল করা হয়েছিল তাদেরও।
সুকমার এসপি বিএস মারাভি জানিয়েছেন, দুজনেই কর্তব্যের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। সেই সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধের সবরকম কায়দার সঙ্গে পরিচিত। বস্তারে নির্বিঘ্নে ভোট করাতে তাঁদের পরামর্শ দারুণ কাজে লেগেছে বলেই দাবি পুলিশ কর্তাদের।
একদিন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার স্বপ্ন দেখা পুরনো মাওবাদির এদিন গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করার দায়িত্ব কেমন লাগল? এক স্থানীয় সাংবাদিককে অর্জুন জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই। এখানেই থামেননি তিনি, প্রথমূবা গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার পর তিনি দেশের সমস্ত মাওবাদিকে হিংসার রাজনীতি থেকে সরে এসে গণতন্ত্রে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।