তিন দিন পরপর তিন নেতানেত্রীর সভা থাকায় রীতিমতো প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি হয়েছে। কার সভায় কত বেশি লোকের ভিড় হয়, তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। আর এই কারণেই রাহুলের সভায় আজ প্রায় ১ লক্ষ লোক জমায়েতের পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। মূলত নির্বাচনী প্রচারেই আসছেন রাহুল। এর আগে মালদহের চাঁচল ও উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দুটি সভা করেছেন রাহুল। এই দুটি সভাতেই হয়েছিল উপচে পড়া ভিড়। চাঁচলের ভিড়ের ছবি কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে ব্য়বহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরেও রাহুলের সভা করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে শেষ পর্যন্ত সভাব বাতিল হয়। পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের বেশ প্রভাব রয়েছে। তাই পুরুলিয়ায় রাহুলের নির্বাচনী সভায় মানুষের ভিড় ভাল থাকবে বলেই আশা করছে কংগ্রেস।
পুরুলিয়া কেন্দ্র থেকে এবার কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থী হয়েছেন নেপাল মাহাতো। ২০১৬-য় বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট থেকে জয়ী হয়েছিলেন নেপাল মাহাতো। তাই তাঁকে নিয়ে আশার আলো রয়েছে কংগ্রেস শিবিরে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ায় সাফল্য় পায় বিজেপি। আর তার পর থেকেই পাকাপাকি ভাবে এই এলাকায় গেরুয়া ঘাঁটি গড়ার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেস কিছুতেই চাইছে না এই এলাকা বিজেপি-র আওতায় চলে আসুক। আর তাই এই কেন্দ্র ঘিরে চলছে চাপান উতর। বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে এই আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে সেই জোট নেই। ফলে ভোটেও যে কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে তা আশা করাই যায়। আর এই ঘাটতিকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের জায়গা গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি। আর এতেই রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছে কংগ্রেস। তাই রাহুলের সভায় যেনতেন প্রকারেণ ১ লক্ষ মানুষের জমায়েত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস। অন্য়দিক থেকে তৃণমূলও এই কেন্দ্রে ঘাঁটি গড়ার কথা ভাবছে। তাই বুধবার এই কেন্দ্রে সভা করছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।