২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ২ দফা বাকি। যত ফলাফলের দিন এগিয়ে আসছে তত বাড়ছে চাপান উতর। জল্পনা চলছে জোর, এবারেও কি ক্ষমতার আসনে জায়গা করে নেবে এনডিএ। বিজেপির একার ভাগ্য়েই বা কটি আসন থাকবে। নাকি বড় কোনও পরিবর্তন দেখতে চলেছে ভারতবাসী।
এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই মোদী সরকারের মূলমন্ত্র ছিল অব কি বার ৪০০ পার। চৌকিদারদের দলের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এবারে ৫৪৩টি আসনের মধ্য়ে তাদের ভাগ্য়েই রয়েছে ৪০০টি আসন। কিন্তু পঞ্চম দফার ভোটের পরে আত্মবিশ্বাস টলমল করছে বিজেপির। ৫৪৩ টি আসনের মধ্য়ে ২৭১টি পেতে পারলেই খুশি বিজেপি। কোনোও বিরোধী দলের সদস্য় নয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের কাছে খোদ এই দাবি করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
তবে রাম মাধবের দৃঢ় বিশ্বাস, অন্য় কোনও দল ক্ষমতায় আসছে না। একক সংখ্য়াগরিষ্ঠতা না থাকলেও জোট হিসেবে এগিয়ে থাকবে এনডিএ। আর তাই সরকার বদলের কোনও প্রশ্নও নেই। ক্ষমতায় বিজেপিই থাকবে। ২০১৪-র মতো ফলাফল না হলেও, নতুন কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী হওয়ার আশা দেখছে বিজেপি। রাম মাধবের মতে এবার বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে নতুন কয়েকটি আসন পাবে বলে মনে করছে। দক্ষিণ ভারতেও আসন সংখ্য়া বাড়তে পারে। একই কথা বললেন শরিক শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তাঁর মতেও, বিজেপি একা সরকার গড়তে না পারলেও, সরকার গঠন করবে সেই এনডিএ সরকারই।
আর মাত্র দুটো দফার ভোট বাকি। এই দুই দফা কোন দলের ভাগ্য়ের চাকা ঘোরায় তার দিকে চেয়ে রয়েছে গোটা দেশ। পঞ্চম দফায় ৭ রাজ্য় থেকে মোট ৮ কোটি মানুষ দিয়েছে। ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট ঘিরে কিছু এলাকায় অশান্তি তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের আমেঠির আবাহাওয়াও বেশ গরম ছিল। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেছিলেন, লোক পাঠিয়ে ভোটের বুথ দখল করছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। এছাড়া সারা দেশে মোটের উপর শান্তিতেই ভোট হয়েছে। তবে কাশ্মীরের পুলওয়ামা ভোটের দিনও অশান্ত ছিল। দুটি কেন্দ্র গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।