বাংলায় গণতন্ত্র নেই, এই হামলাই প্রমাণ! রোড শো-সংঘর্ষে অমিতের অভিযোগ

  • অমিত শাহ-এর রোড শো ঘিরে কলকাতায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ।
  • হিংসার ঘটনার সমালোচনা করলেন অমিত শাহ।
  • বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি হতাশার থেকে তৃণমূলের গুন্ডারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

amartya lahiri | Published : May 14, 2019 5:01 PM IST / Updated: May 14 2019, 10:50 PM IST

অমিত শাহ-এর রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র উত্তর কলকাতা শহর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যাসাগর কলেজ দুই জায়গাতেই তীব্র সংঘর্ষ হয় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। ভেঙেছে বিদ্য়াসাগরের মূর্তিও। হিংসার ঘটনার সমালোচা করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবে তিনি যাবতীয় দায় চাপালেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়েই। বললেন এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিল বাংলায় গণতন্ত্র নেই।


বিজেপির সর্বাভারতীয় সভাপতি জানিয়েছেন আপাতত তিনি নিরাপদে কলকাতাতেই আছেন। তাঁর দাবি, এদিন কলকাতায় তাঁর রোড শো-তে প্রায় গোটা শহরের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। অমিতের অভিযোগ তাঁর রোড শোতে এই বিপুল সাড়া দেখেই হতাশা থেকে ওই দুই জায়গায় হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তাঁর অভিযোগ রোড শো চলাকালীন আচমকাই কলকাতা মেডিকাল কলেজ থেকে তৃণমূলের কিছু সমর্থক হাতে কালো পতাকা ও ডান্ডা নিয়ে মিছিলের উপর চড়াও হয়। পুলিশ কিছু না করায় তাঁদের কার্যকর্তাদের সঙ্গে ওই টিএমসি কর্মীদের সংঘরষ শুরু হয়। ঘটনায় বিজেপির বেশ কিছু কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি।

এদিন অবশ্য একেবারে প্রথম থেকেই পুলিশ, প্রশাসন ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা নানাভাবে তাঁর এই রোড শো ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অমিত। সকাল থেকেই অনুমতি নিয়ে কয়েক প্রস্থ ঝামেলা করা হয়, তারপরে এই হামলা। কিন্তু এই এতরকম ঝামেলার পরও রোড শো চলেছে এবং পরিকল্পনামাফিক সময় ও স্থানেই শেষ হয়েছে। এই কারণে ও প্রচুর মানুষকে সংগঠিত করার জন্য তিনি বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের কার্যকর্তাদের ধন্যবাদও দেন।

শুধু একটাই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে। রোড শো-এর শেষে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মস্থলে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মালা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বাধা সৃষ্টি করা হয়। পুলিশ জানায় রাস্তা ব্লক হয়ে গিয়েছে তাই ওই পথে যেতে পারবেন না।

মমতা বন্দোপাধ্য়ায়ের দল বাংলায় যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে, তার অবসান ঘটানোর জন্য লোকসভা ভোটের শেষ দফায় বাংলার মানুষ দুহাত ভরে আসীর্বাদ করুণ বিজেপিকে সেই আবেদনই করেছেন বিজেপি সভাপতি। আজ যে হিংসার ছবি কলকাতা তথা দেশ দেখল, তার অবসান ঘটাতে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোটা অবশ্য দরকারি বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

 

Share this article
click me!