পুলিশের এসপি থাকাকালীন তিনি যাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেছিলেন, সেই অভিযুক্তদের দিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে মমতা বন্দ্যোাধ্যায় সরকার - মঙ্গলবার কলকাতার সিআইডি দফতর থেকে বের হয়ে এমন গুরুতর অভিযোগই করলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তথা ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।
গত রবিবারই তাঁর কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের দিন তিনি যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন সেখানেই অশান্তি হয়েছিল। এবার ভোট মেটার দুদিন পরেই তাঁকে বেআইনিভাবে অর্থ বাজেয়াপ্ত করার একটি মামলায় সিআইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়।
২০১৬ সালে উত্তর ২৪ পরগণার ব্যবসায়ী ইউনুস আলি, ব্যবসার কাজেই গাড়িতে ৪৫ লক্ষ টাকা মূল্যের নগদ নিয়ে যাচ্ছিলেন। খড়গপুরের কাছে তাঁর গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপরই সেই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ ওই গাডি় ও নগদ অর্থ দুই বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন ওই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য তিনি অনেকবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ভারতী তা ফেরত দেননি। এই অভিযোগের বিষয়েই জিজ্ঞঢাসাবাদের জন্য তাঁকে এদিন সিআইডি ডেকে পাঠিয়েছিল।
বেলা ১১টা থেকে প্রায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেরা চলে। তবে অন্যান্য অনেক মামলার মতোই এই মামলাও মিথ্য়া বলেই দাবি করেছেন ভারতী। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ সুপারের পদে তাকার সময় তিনি যেসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেছিলেন তাদেরকেই খুঁজে এনে তৃণমূল মামলা করাচ্ছে। তবে মামলাটি মিথ্য়া হলেও তিনি সবরকমভাবে সহায়তা করেছেন বলেই দাবি করেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী।
তাঁর বিশ্বাস এই মিথ্যা মামবিষয়গুলি একদিন ঠিকপ্রকাশ পাবে। সেই সঙ্গে তিনি আস্থা রাখছেন সাধারণ মানুষের উপরও। তিনি জানান, মানুষ দেখছেন তাঁকে কীভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি গাড়িতে করে বৈধ টাকা নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে আটকানো হয়। নির্বাচনের দিন বোমাবাজি করে, ঢিল ছুড়ে, নানা প্রক্রিয়ায় তাঁকে আটকানো হয়েছে। এখন সিআইডি-তে ডেকে এনে নাকাল করা হচ্ছে।
এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা, যা এই লোকসভা ভোটেই মানুষ ব্যর্থ করে দেবেন বলেও দাবি করেন ভারতী ঘোষ।