দুটো দরজার তালা ভেঙে কীভাবে বাইরে এল মূর্তি, বিস্ফোরক তথ্য অমিত শাহ-র

  • সাংবাদিক সম্মেলন করে পাল্টা আক্রমণ অমিত শাহ-র 
  • ভাবাবেগ পেতেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে, দাবি অমিতের 
  • তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি অমিত শাহর 
  • তাঁকেও মারধরের চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি সভাপতির

debojyoti AN | Published : May 15, 2019 9:18 AM IST / Updated: May 15 2019, 02:51 PM IST

বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার কেলেঙ্কারিতে এবার নয়া সূত্রের আমদানি। আর এই সূত্র হাজির করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, শেষ দফার নির্বাাচনে জনতার আবেগ টানতে মূর্তি ভাঙার নাটক করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অমিত শাহ-র দাবি, বিদ্যাসাগর কলজের গেট বন্ধ ছিল। কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরেই দাঁড়িয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। সুতরাং, একজন মিছিল থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকদের পক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকা অসম্ভব ছিল। এমনকী, বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি যে কাচের বক্সে ছিল সেটাও নাকি একটি ঘরের মধ্যে ছিল। ওই ঘরটি আবার তালাবন্ধ ছিল। ওই ঘরের দরজায় পৌঁছতে হলে আরও একটি ঘরের দরজা পার করতে হয় বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। সুতরাং, বাইরের লোকের পক্ষে অসম্ভব বিদ্য়াসাগরের মূর্তি রাখা ঘর খুঁজে বের করাটা। সুতরাং এটা পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসের-ই কীর্তি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি। 

অমিত শাহ মঙ্গলবারই মিছিলের পর দাবি করেছিলেন কলেজ স্ট্রিটে মিছিল-কে কেন্দ্র করে যে হিংসাত্মক ঘটানা ঘটেছে তার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসই রয়েছে। এদিন নয়াদিল্লি-তে দলের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনেও নিজের দাবিতে পরিষ্কার অনড় থাকলেন তিনি। এমনকী, এদিন তিনি অভিযোগ করেন, মিছিলে কোনও আধাসেনাকে থাকতে দেওয়া হয়নি। উল্টে মিছিলের মধ্যেই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছিল। একটা সময় মিছিলে নিজেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। অমিত শাহর দাবি, তিনি অনেক চেষ্টা করছিলেন মিছিল-কে ঘিরে তৈরি হওয়া জটলা থেকে বের হওয়ার। শেষমেশ অনেক কষ্টে তিনি বেরিয়ে আসতে সমর্থ হন। নচেৎ তাঁর উপরেও হামলা হতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অমিত শাহ। এটাকে তিনি সৌভাগ্য বলে দাবি করছেন। 

সাংবাদিক সম্মেলনে রীতিমতো মিছিলের ছবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার ও দলের হাজারো প্রতিরোধ সত্ত্বেও অন্তত আড়াই লক্ষ মানুষ আড়াই ঘণ্টা ঘরে মিছিলে পা মিলিয়েছেন। এত সংখ্যক মানুষের জমায়েত দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাবড়ে গিয়েছেন বলেও দাবি করেন অমিত। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি দাবি করেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশের সমস্ত রাজ্যেই ভোটে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সেখানও অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু, কেউ এখন পর্যন্ত এদের কেউ বিজেপি-র বিরুদ্ধে হিংসা বাধানোর অভিযোগ আনতে পারেনি। লোকসভা নির্বাচনে ছয় দফার ভোট শেষে হয়েছে। এই দফাগুলিতে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোথাও হিংসা হয়নি বলে মন্তব্য করেন অমিত শাহ। আর পশ্চিমবঙ্গে এই হিংসা করানোর পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসই জড়িত বলে দাবি করেন। 

Share this article
click me!