গত চব্বিশ ঘণ্টায় বিশৃঙ্খলা আর নৈরাজ্যে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ। ভোটের প্রচার গিয়ে শষ হল দ্বিশতবর্ষে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো এর পরেই তাণ্ডব চলল উত্তর কলকাতা জুড়ে।
বিদ্যাসাগর কলেজে বচসা থেকে তা এগোল মূর্তি থেকে দরজা জানলা ভাঙায়। দু'পক্ষই পরস্পরের দিকে
অভিযোগের আঙুল তুলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালার সভা থেকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্য দিকে মমতার দিকে আঙ্গুল তুলতেও ছাড়েনি অমিত শাহ। তাঁর প্রশ্ন শুধু মমতার রাজ্যেই নৈরাজ্য কেন।
এই প্রশ্ন প্রতিপ্রশ্নের ভীড়ে ফাঁপড়ে পড়েছে কমিশন। কেননা ভোটচলাকালীন রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায় তাঁদেরও। এই পরিস্থিততে কার্যত বিহ্বল তাঁরা। সেই কারণেই সকাল ১১.৩০ এ জরুরিভিত্তিক মিটিং তলব করল কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে কথাবার্তা বলতে চাইছে কমিশন। বিষয় নির্বাচনী হিংসা। ঠিক করা হবে অ্যাকশান প্ল্যান।
ইতিমধ্যেই শেষ দফার আগে নাকা চেকিং, সীমান্ত সিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলি জানিয়েছিল কমিশন। কমিশন স্থির করেছিল হোটল-লজগুলিতে বহিরাগতদের আসা যাওয়া রুখতে তল্লাশি হবে। গত দিনের ঘটনার পর আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইবে কমিশন, এমনটাই মনে করছে উদ্বিগ্নমহল।